• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ভিসিপন্থী বহিরাগতদের হামলা

  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বহিরাগতরা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর এ হামলা চালায় বহিরাগতরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রসীরা এ হামলা চালিয়েছে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৪০-৫০ জনের একটি দল তাদের ওপর রামদা, হকিস্টিক এবং লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিশারিজ দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মাথা ইট দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পরও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন করে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

এর আগে, আগামীকাল রোববার থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে, বিবাদমান গ্রুপসমূহের মধ্যেকার মতানৈক্য নিরসনে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে রিজেন্ট বোর্ডের সম্মানিত সদস্যগণের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পূজার নির্ধারিত ছুটির সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানান, আমার এখনো আদেশের চিঠিটি পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি পদত্যাগ করলেই আন্দোলন থেকে সরে যাব। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ ছুটি ও হল ত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।

বশেমুরবিপ্রবি থেকে শফিকুল আহসান ইমন

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads