• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
অনিয়মের মধ্য দিয়ে জবির বিজ্ঞান শাখার ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

অনিয়মের মধ্য দিয়ে জবির বিজ্ঞান শাখার ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

  • জবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউানট-১ (বিজ্ঞান শাখা) এর ভর্তি পরক্ষা। পরীক্ষা চলাকালিন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রানীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকি দ্বারা সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১.৩০টা প্রথম শিফটে জোড় সংখ্যার রোল এবং বিকাল ৩টা থেকে ৪.৩০টা পর্যন্ত ২য় শিফটে বিজোড় সংখ্যার রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সকালের শিফটের পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে শেষ হলেও বিকালের শিফটে শিক্ষকদের যাচ্ছেতাই নিয়মের মাধ্যমে শেষ হয়। বিকালের শিফটে পরীক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার জ্যামের কারণে ৫ মিনিট দেরীতে উপস্থিত হলে প্রক্টরিয়াল বডির অনুমতি নিয়ে হলে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলেও দুই পরীক্ষার্থী সাদমান ইসলাম ও নাইমুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষাথীকে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে দেয়নি আইন বিভাগের ৯১০ ও ৯১৫ নম্বর কক্ষের শিক্ষকরা।

অন্যদিকে দেখা গেছে, পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিটি পর্যন্ত অন্য কক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করেছে।

এ সময় ওই দুই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ‘দ্য এশিয়ান এইজ’ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিনার আল হাসানের মোবাইল কেড়ে নেয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রানীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকি। এ সময় তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয় এবং ‘সাংবাদিকরা সবাই বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর প্রক্টর অফিসে সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে গেলে সহকারী প্রক্টর বিভাস কুমার সরকার সাংবাদিকদের সাথে রুঢ় ব্যবহার করেন।

সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি বেঞ্চে তিনজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের প্রশ্নের সেট একই। কলা ভবনের কিছু সংখ্যক শিক্ষক পরীক্ষা চালাকালীন হল থেকে বের হয় একসাথে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট-৩ (বাণিজ্য) এর ভর্তি পরীক্ষা চলার সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামীকে পরীক্ষার হলের মধ্যে সেলফি তুলতে দেখা যায়। পরীক্ষা চলাকালীন এ সেলফী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, রাস্তায় যানজট থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোনো হলে ঢুকতে দেবে আবার কোন হলে ঢুকতে দিবে না এরকম হওয়াটা দুঃখজনক। সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে তিনি ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, জ্যামের বিষয়ে জানার পর মানবিক দিক বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা ছিল। তারপরও কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকলে এখন আর কিছু করার নাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads