• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ভিসির পদত্যাগের দাবীতে সপ্তম দিনেও উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

ভিসির পদত্যাগের দাবীতে সপ্তম দিনেও উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবীতে সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নিয়ে ভিসির আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষাথীরা। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ইউসিজি ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌঁছেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশ অধ্যাপক মোঃ আলমগীর হককে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদস্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ এসে পৌঁছান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌছেছেন।

ক্যাম্পাস ঘুরে জানাগেছে, ক্লান্তিহীন এ নিরবচ্ছিন্নভাবে বুধবার টানা এক সপ্তাহ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন হল থেকে এবং হলের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের একের পর ছোট ছোট মিছিল ক্যাম্পাসে আসে। তারা ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবীতে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনে যোগ দেয়। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় ভিসির পদত্যাগের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা করেনি।

এদিকে, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণিত বিভাগের ছাত্র মো. আল গালিব।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাশেমুরবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলরের সকল অনিয়ম, দূর্নীতি, নৈতিক স্থথলন, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সকল সাধারন শিক্ষার্থীদের অনশন এবং অবস্থান কর্মসূচি ৭ম দিন অতিবাহিত হতে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মিডিয়াতে দেওয়া ভাইস চ্যান্সেলরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর যেখানে আপনার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেখানে আপনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হুমকি দিচ্ছেন যে, মিডিয়া কাভারেজ বন্ধ করে দিলে না কি আপনি ২ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হটিয়ে দেবেন। এটা আপনার কোন কৌশল? তাহলে কি আবারও আপনি আপনার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করবেন, যা মিডিয়া কাভারেজ থাকার কারণে পারছেন না।

আপনি বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাকি মিডিয়াতে ফোকাস হওয়ার জন্য এবং নেতা হওয়ার জন্য এসব করছে। তাহলে কি আমাদের ভাই বোনেরা আপনার লালিত বাহিনীর হাতে রক্ত ঝড়ালো মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য?

আপনি বলেছেন, সাধারন শিক্ষার্থীরা নাকি আজে বাজে কথা বলি, তাহলে আপনি যে প্রতিনিয়ত আমাদের এবং আমাদের অভিভাবকদের ডেকে জানোয়ার. বেয়াদব লাথি দিয়ে বের করে দেয়াসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন এটা নাকি আপনার জেনেটিক সমস্যা এটা কতখানি যুক্তিযুক্ত? প্রশ্ন রইল দেশবাসীর কাছে। আপনি বলেছেন, আন্দোলনকারী ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় রাস্তায় এবং ঝোপ ঝাড়ে বসে থাকছি। আমরা সবাই জানি আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেখানে এমন একটি মিথ্যাচার মেনে নেয়া যায় না। এ সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্দ্যিালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, ইউজিসির একটি তদন্ত দল তদন্ত করেত গোপালগঞ্জ এসে পৌঁছেছেন। তবে তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে পৌঁছাননি। তাদেরকে সব ধরনের তথ্য ও নথিপত্র দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads