• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লার ২৯৫ টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

কুমিল্লা ম্যাপ

শিক্ষা

কুমিল্লার ২৯৫ টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

সহকারি শিক্ষক সংকট ১২ শতাধিক

  • কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৯

কুমিল্লা জেলা ১৭টি উপজেলার ২৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। স্কুল গুলো চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। সহকারি শিক্ষক নেই ১২ শ’ ০৮ জন। জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদ বেশি খালি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন এই সংকট বিরাজ করছে।

জেল প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলায় দুই হাজার ১০৭টি সরকারি শিক্ষকের পদ রয়েছে ১২ হাজার ৭০৮টি। আদর্শ সদর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১০ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৬১ জন, লাকসাম উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট সাতজন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৪৫ জন, দেবিদ্বার উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২২ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৪০ জন, মুরাদনগর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২৭ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ১২৪ জন, দাউদকান্দি উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২২ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ১৪৪ জন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ২২ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ১১৪জন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১১ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৫৮ জন, বরুড়া উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৬ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৭৭ জন, বুড়িচং উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৩৭ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ১৪ জন, চান্দিনা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৭ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৭০জন, হোমনা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২১ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৪২ জন, নাঙ্গলকোট উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৪০ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ১৫৭ জন, মেঘনা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ১২ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ২৪ জন, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২০ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৯৮ জন, সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৯ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ১১ জন ও লালমাই উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ৫ জন, সহকারি শিক্ষক সংকট ৪০ জন।

এদিকে নাঙ্গলকোট বান্নাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদ আছে পাঁচটি। তবে প্রধান শিক্ষক ছাড়া দুইজন মাত্র সহকারি শিক্ষক। তার মধ্যে একজন আছেন মেডিকেল ছুটিতে। এখন প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারি শিক্ষক মিলে ১৩৭ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা শিক্ষক সংকটে রয়েছি। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মজুমদার বলেন, নাঙ্গলকোটে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্নাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিরুলী একে এম হিরমত আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে দুইজন করে শিক্ষক রয়েছেন। ডেপুটেশনে কিছু শিক্ষক এনে বিদ্যালয় গুলোর পাঠদান করা হচ্ছে।

শিক্ষক সংকটে থাকা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ নাইমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। শুন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এ সংকট দূর করা উচিত।

কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, আমরা সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকা করে অধিদপ্তরে পাঠাবো। এতে প্রধান শিক্ষকের সংকট দূর হবে। এদিকে সহকারি শিক্ষকের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। সামনে মৌখিক পরীক্ষা। তাদের নিয়োগ দিরে সহকারি শিক্ষকের সংকটও কমবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads