• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
অবশেষে চালু হলো চবির শেখ হাসিনা হল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে দুটি আবাসিক হলটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিরীণ আখতার।

প্রতিনিধির তোলা ছবি

শিক্ষা

অবশেষে চালু হলো চবির শেখ হাসিনা হল

  • চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর ২০১৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে দুটি আবাসিক হল উদ্বোধনের সাড়ে ৪ বছর পর অবশেষে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলটির আবাসিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ টায় হলটি উদ্বোন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিরীণ আখতার। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এখনো চালু হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে হল দুটির উদ্বোধন করেন।

হলটি চালুর জন্য ১১ জুলাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলে সিট বরাদ্দের দাবিতে প্রতিবাদ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সংযুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৩ এপ্রিল হল খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। সিটে ওঠার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সংযুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন উপাচার্যের সময়ও আন্দোলন করে আসছিল তারা। পরে প্রক্টর পরিবর্তন হওয়ার পর তাদের ভাইভা নেয়া হয়। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এই ভাইভা নেয়া হয়। ফল প্রকাশের জন্য এক মাসের সময়ও দেয়া হয় বলে দাবি প্রশাসনের। তবে শিক্ষার্থীরা বলে দশ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। হল দুটিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাটাচমেন্ট দেওয়া হয়েছে অনেক আগে। তবে আসন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছিল না । ফলে চরম আবাসন সঙ্কটে ভুগছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে হল উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয়। কোনো ধরনের কার্যক্রমে অংশ না নিয়েই তিনি প্রভোস্টের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষক।

জানা যায়, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের মোট আয়তন প্রায় ৯৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট। ছাত্রীদের জন্য নির্মিত চারতলা এ হলে আছে ৫০০টি আসন এবং ছেলেদের জন্য নির্মিত প্রায় ৪৫ হাজার বর্গফুটের দুইতলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসন রয়েছে ১৮৬টি। হল দুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭১ টাকা।

উদ্বোধনের দেড় বছর পরে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ না দিয়ে ২০১৭ সালের মে থেকে দুটি হলেরই ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছয়তলা ভবন করে আসন বাড়ানো হয় আরো ৫৬৪টি। ফলে এর মোট আয়তন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৮৪৮ বর্গমিটার, যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে ৫০০ আসনবিশিষ্ট চারতলা জননেত্রী শেখ হাসিনা হলকে আরো দুই তলা বাড়িয়ে ছয় তলাবিশিষ্ট ভবন করে আসন বাড়ানো হয়েছে ২০০টি। ফলে এখন এ হলের মোট আয়তন প্রায় ১২ হাজার ৭০০ বর্গমিটার, যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২৬ কোটি ৫০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

হলটি চালু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকলিমা আকতার বলেন, হলটি চালু হওয়ায় আমাদের কষ্ট কমবে। রাজনৈতিক দখলদারিত্ব না থাকলেই হয়। মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা কিছুটা রেহাই পাবেন।

উদ্বোধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, এ হলে যারা আসন পেয়েছে তারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের আবাসিক কার্যক্রম উদ্বোধনের ফলে আমাদের প্রাণপ্রিয় ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা কিছুটা হলেও নিরসন হবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রছাত্রী মিলে ১২টি হলে মাত্র ৫ হাজার ৪৫টি আসন রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads