• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও আলোকিত মানব সম্পদ উৎপাদনই চবির লক্ষ্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেক কেটে শুভ উদ্বোধন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শিক্ষা

৫৩ তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও আলোকিত মানব সম্পদ উৎপাদনই চবির লক্ষ্য

  • চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর ২০১৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, সত্য-সুন্দর-কল্যাণ আর জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার তীর্থস্থান হল বিশ্ববিদ্যালয়। সৎ, যোগ্য ও বহুমাত্রিক দক্ষতা সম্পন্ন আলোকিত মানব সম্পদ উৎপাদনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য।

আজ সোমবার ( ১৮ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য তাঁর ভাষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে স্বাগত, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

উপাচার্য বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ এবং এ অমিয় চেতনা সমুন্নত রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া, মানবতার জননী, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শিক্ষা দর্শন, শিক্ষার সাথে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে সমন্বয় করে ‘আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর গুণগত শিক্ষা’-এর সফল বাস্তবায়নের ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা-গবেষণা প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল করতে এই প্রতিষ্ঠানের জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অধিকতর মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

উপাচার্য আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিশ^বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। উপাচার্য তাঁর ভাষণে প্রানপ্রিয় শিক্ষার্থীরা তাদের মেধাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবিরাম জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে সত্য-সুন্দর-কল্যাণকে ধারণ করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবর্গ, জাতীয় চারনেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মন্দভাগ রেল দূর্ঘটনায় ও চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় দূর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ৫৩তম ‘চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন।

পূর্বাহ্নে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি শেষে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভ, শহীদ মিনার, জয়বাংলা ভাস্কর্য, জিরো পয়েন্ট ‘স্মরণ’ চত্বর ও বিশ^বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহ দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমদ, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আলী আশরাফ, প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ-চবি’র সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল হক, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবদুল হাই।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহামদ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সমূহের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা’র পরিচালক, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি-কর্মচারী সমিতি-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads