• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৩১ দিনে নভেম্বর মাস!

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শিক্ষা

চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৩১ দিনে নভেম্বর মাস!

  • মো. এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৯

ক্যালেন্ডারে নভেম্বর মাস ৩০ দিনে হলেও চলতি বছরের নভেম্বর মাসকে ৩১ দিনে স্বীকৃতি দিচ্ছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম। তিনি সরকারি সার্টিফিকেটের স্বাক্ষরে নভেম্বর মাসকে ৩০ দিনের জায়গায় ৩১ দিন হিসেবে দেখিয়েছেন। তাও আবার নভেম্বর মাস শেষ না হতেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেটে ইস্যুর তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৩১/১১/১৯।

জানা গেছে, প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নভেম্বর মাসেই শেষ করা হয়। আর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পরের বছর মার্চ মাসের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ২০১৮ সালের উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট মার্চ মাসের মধ্যে প্রদান করেনি। নিয়ম অনুযায়ী সার্টিফিকেট প্রদান না করে নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেখানে নভেম্বর মাসকে ৩১ দিন হিসেবে উল্লেখ করে স্বাক্ষর দিয়েছেন শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম, সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। 

অনুসন্ধানে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. সাব্বির হোসেন নামের এক ছাত্রকে দেওয়া সার্টিফিকেটে দেখা গেছে, সব লেখা ঠিক থাকলেও সার্টিফিকেট ইস্যুর তারিখ দেখানো হয়েছে ৩১/১১/১৯। লিপিকার হিসেবে নাম রয়েছে ‘আমেনা’। যাচাইকারী হিসেবেও স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন। নভেম্বর মাসকে ৩১ দিনের উল্লেখ করায় ভবিষ্যতে কোন কিছুতেই সার্টিফিকেটটি কাজে লাগবে না ওই ছাত্রের। শুধু মো. সাব্বির হোসেনের নয়, এভাবে ভুল তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে শত শত ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেটে। তবে ভুলের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, ‘শিক্ষা অফিসে ‘ভূল’ নিয়ে থাকা কর্মকর্তাদের কারণে সন্তানদেরকে সামনে বেকায়দায় পড়তে হবে’। শিগগিরই বিতরণ করা সার্টিফিকেটগুলো বাদ দিয়ে সঠিক তারিখ উল্লেখ করে নতুন সার্টিফিকেট বিতরণের আহবান জানান তারা।

সার্টিফিকেটে যাচাইকারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো। আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনো নোটিশ পাইনি’।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে যাচাইকারী সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমরা ভুল তারিখ দেওয়া সার্টিফিকেটগুলো প্রত্যাহার করে নিচ্ছি’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads