• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মরিচা পড়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়!

ছবি: বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

মরিচা পড়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়!

  • গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৯

মরিচা পড়া পুরোনো টিনের চালা। আছে তিনটি শ্রেণিকক্ষ। রংচটা ইটের দেয়াল আর কাঠের দরজা-জানালা। এই হলো একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র। প্লাইউডের বোর্ড দিয়ে ভাগ করা ওই তিনটি কক্ষে চলে নাটোরের গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিক ও সজিব জানায়, টিনের চালার ফুটো দিয়ে রুমের ভেতরে রোদ লাগে। আবার বৃষ্টি আসলে পানি পড়ে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রী বেশি হওয়ায় ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। এভাবে ক্লাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।

প্রতি বছর শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করা এই বিদ্যালয়ের ৫৭০ জন শিক্ষার্থীকে দশটি শাখায় পাঠদান করানো হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামগত সুবিধা নেই। ফলাফলে বহুবার জেলা ও উপজেলার সেরা হওয়া বিদ্যালয়টির এমন নাজুক অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও নাজুক হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, ১৯৬৩ সালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুদাসপুর পৌরসদরে ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ বর্মন। ১৯৮৬ সালে প্রথম একটি টিনশেডের ঘর নির্মিত হয়। আশপাশে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় তখন থেকেই এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করার মতো।

শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চাপের কথা বিবেচনা করে ২০০০ সালের পর একটি একতলা এবং একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ভালো ফলাফল এবং মডেল বিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে শিক্ষার্থীরা। যে ভবন আছে তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। ফলে পুরোনো টিনশেড চালাঘরেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষক আফরোজা সুলতানা ও ইসরাত জাহান জানায়, শুধু ভালো ফলাফলেই নয় সংস্কৃতিতেও সেরা আমাদের এই বিদ্যালয়। অথচ বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। এই দৈন্যতার ফলে একসঙ্গে অনেক শিশু নিয়ে পাঠদান করতে হয়। অনেক সময় কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল জব্বার ম-ল ও প্রধান শিক্ষক গোলাম মর্তুজা আলী জানান, তাদের এই বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ালে ফলাফলে আরো ভালো করবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অবকাঠমোগত অসুবিধা বিবেচনা করে গুরুদাসপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতল ভবন নির্মানের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads