• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বশেমুরবিপ্রবির নাম সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী আল গালিব

ফাইল ছবি

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবির নাম সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০১ ডিসেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কবির আল গালিবকে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবী নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে তার বিরুদ্ধে এ শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কবির আল গালিবের (আইডি নং-২০১৩১২০৩০৭৩) দাবি নামা সম্বলিত স্ট্যাটাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলা বিধির ৫ (ক) নং ধারা ভঙ্গ করার সামিল এবং বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু পরিবশ বজায় রাখতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হলো। 

জানা গেছে, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন কবির আল গালিব। ভিসি বিরোধী পদত্যাগ আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতেই গালিব ছিলেন সম্মুখে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন।

এরপর ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান। প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান দায়িত্ব গ্রহনের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। ওইসব দাবীর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখার দাবী করা হয়।

কিন্তু বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অগ্রাহ্য করে। পরে কবির আল গালিব বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একই সাথে শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবী তোলেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বহিস্কার না করে তার পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা করে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা পুনরায় গালিবকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজানের কাছে আবেদন করেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন সম্পর্কে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১৪ নভেম্বর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে প্রশাসনের কাছে করা শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত নয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সঠিক রেখে কোন কিছু প্রচার ও প্রকাশ করার অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে কবির আল গালিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান জানিয়েছেন, কবির আল গালিব একটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িকভাবে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অভিযোগটি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads