• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
জাবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ১১ জনের ১ বছরের বহিষ্কারাদেশ

ফাইল ছবি

শিক্ষা

তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন

জাবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ১১ জনের ১ বছরের বহিষ্কারাদেশ

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০২০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিদ্যালয়ে গত বছরের ১৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ১১ জন শিক্ষার্থীকে ১ বছরের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ বৃস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার বরাত দিয়ে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, কেন্দ্রীয় খেলার জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের র‌্যাগিংয়ের ঘটনা তদন্তপূর্বক ডিসিপ্লিন বোর্ডের সুপারিশ এবং সিন্ডিকেট সিন্ধান্ত অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনাপূর্বক বহিষ্কারের সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭ তম ব্যাচ) ও শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হারুন-অর-রশিদ, মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এনামুল হক তামিম, মওলানা ভাসানী হলের রাইসুল ইসলাম রাজু, তাওসিফ আব্দুল্লাহ, স্টিব সালগ্না রেমা, জাকির হোসেন জীবন, মো: মাহবুবুর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া হলের সারা বিনতে সালাহ, প্রীতিলতা হলের সায়মা লিমা, ফারিয়া বিনতে হক।

বহিষ্কৃতরা সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তের তারিখ গত ১৯-১২-২০১৯ থেকে আগামী ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না বলে জানানো হয়।

এছাড়াও বিভাগের প্রথম বর্ষের (৪৮ ব্যাচ) মো: নাঈম হাসান, আল ইমরান হোসেন তালুকদার নামে দু’জন শিক্ষার্থীকে মিথ্যা, অসত্য ও ভুল তথ্য প্রদানের অভিযোগ এনে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ঘটনায় মিথ্যার আশ্রয় নেবে না এই মর্মে সতর্কীকরণ নোটিশ প্রদান করার আদেশ দেয় সিন্ডিকেট।

এদিকে তদন্ত কমিটির অনুসন্ধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন। তাদের দাবি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন না করে তদন্ত কমিটি অনুমান নির্ভর তথ্যের উপর ভিত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বহিষ্কৃত এক শিক্ষার্থী ক্ষোভের সাথে বলেন, তদন্ত কমিটি আসল সত্য ঘটনা অনুসন্ধান করেনি। দুই পক্ষের আত্নপক্ষ সমর্থন যাচাই-বাছাই না করেই মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

আর একজন নারী শিক্ষার্থী বলেন, এই তদন্ত কমিটির উপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। ঐদিন র‌্যাগিংয়ের মতো কিছুই ঘটে নি। সিনিয়ররা মাঠে ডেকেছিল বিভাগের আন্ত:ব্যাচ ক্রিকেট খেলার বিষয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করার জন্য। যেটা হয়েছে পরিবারের ভেতরেও একসাথে থাকলে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আমরা পরে সেটা মীমাংসা করে নিয়েছি। কিন্তুু প্রশাসন উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে আমাদের বহিষ্কার করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক।

প্রথম বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সঙ্গে র‌্যাগিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যেটা হয়েছে তা ভুল বোঝাবুঝি। ঘটনার দিনই বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে ও লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, তদন্ত কমিটিতে আরও অন্যান্য সদস্যরা আছেন। সব স্বাক্ষ্য প্রমাণ তদন্ত প্রতিবেদনে আছে। আমি একা কোনো বক্তব্যে দিব না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। এটা পুরোপুরি সিন্ডিকেটের সিন্ধান্ত। আমি তদন্ত কমিটির কোনো প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলাম না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের বক্তব্যে জানার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads