• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০২০

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের নিজ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করবেন। গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত এক চিঠি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দেওয়া হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার) থেকেই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্ব স্ব ক্লাসের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে তুলতে বলা হয়েছে। প্রথম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত মূল্যায়ন ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে যারা উঠবে তাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে।

জাকির হোসেন বলেন, সংসদ টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণিপাঠ প্রচার করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক তাদের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসার কাজ সম্পন্ন করছেন। টেলিফোনের মাধ্যমে অনেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা করছেন। এসবের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়নের মাধ্যমে ৪র্থ-৫ম শ্রেণিতে তোলা হবে।

কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করবে সে বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার (আজ) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থীর পরবর্তী ক্লাসের জন্য যতটুকু জ্ঞান থাকার দরকার তা আছে কি না, না থাকলে তাকে যা শিখতে হবে সে বিষয়ে শিক্ষকরা পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবেন।

টিভি ও রেডিওতে সম্প্রচার হওয়া ক্লাস থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা রেডিও, টিভিসহ কোনো মাধ্যমে পাঠদান নিতে পারেনি বা সিলেবাস শেষ করতে পারেনি তাদেরও পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এসব শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে জানুয়ারি থেকে যদি বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরু করতে পারি তবে গত ছয় মাসের পিছিয়ে পড়া সিলেবাস পড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য নতুন সিলেবাসের সঙ্গে এক থেকে দেড় মাস পুরাতন সিলেবাস পড়ানো হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads