• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

শিক্ষা

নতুন বছরে সব বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

উদ্বোধন হবে ভার্চুয়ালি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ ডিসেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। প্রতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন বই বিতরণের মাধ্যমে বই উৎসব পালন করা হয়। তবে এবার ১ তারিখের আগে সব বই স্কুলে পৌঁছানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলে বই পৌঁছানোর জন্য ড্রাফট তৈরি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ড্রাফট অনুমোদন করবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সুস্থ হলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে ১ জানুয়ারির আগে সব বই পৌঁছাবে না। নবম ও দশম শ্রেণির ১৩টি বইয়ের মধ্যে মূল বই আটটি যথাসময়ে পৌঁছবে। আর ব্যাকরণ বই যাবে পরে।

এবার নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ের উদ্বোধন ভার্চুয়ালি করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করার পর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, এ বছর মোট সাড়ে ৩৪ কোটি নতুন বই মুদ্রণ করা হয়েছে। এ বই এখন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, ‘বই কীভাবে পৌঁছানো হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।’

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই বিতরণ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বই পৌঁছানোর দায়িত্ব এনসিটিবির। বাকি দায়িত্ব মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। মাধ্যমিকের ১৩ কোটি এবং প্রাথমিকের আট কোটিসহ ২১ কোটি বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পর্যন্ত পৌঁছেছে। বাকি বই পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। এ বছর মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ। সাড়ে ৩৪ কোটি বইয়ের মধ্যে বাকিটা প্রাথমিকের। এর মধ্যে ১ জানুয়ারির আগে মাধ্যমিকের সব বই না পৌঁছলেও প্রাথমিকের সব বই পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

 

উদ্বোধন ভার্চুয়ালি

নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ের উদ্বোধন ভার্চুয়ালি করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করার পর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়া হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘করোনার কারণে স্বাভাবিক সময়ের মতো বই উৎসব এবার হচ্ছে না। তবে ভার্চুয়ালি বইয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়ার বিষয়টি দুই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বিদ্যালয়-২) শামীম আরা নাজনীন বলেন, ‘করোনার কারণে প্রতিবারের মতো বই উৎসব হচ্ছে না। তবে ভার্চুয়ালি নতুন বই উদ্বোধন করা হবে। প্রথমে গণভবন থেকে ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে উদ্বোধন করার পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে করোনার কারণে বই উৎসব বাতিল করেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেওয়া হবে জানিয়েছিলেন।

প্রতি বছর গণভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসব উদ্বোধন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার এ উৎসবের আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads