• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

সংরক্ষিত ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০১৮

শুধু শহর নয়, গ্রামেও বিদ্যুৎ-ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আর তা হয়েছে বর্তমান সরকারের যথাযোগ্য তৎপরতায়। এখন দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। গেল পাঁচ বছরে মূলত রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। সৌরসহ ২০১০ সালে ৫৭ ভাগ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন ৭৪ ভাগ মানুষ।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট এবং প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। আশ্চর্য হলেও সত্য বর্তমানে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩৪ হাজার মেগাওয়াট করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০ সাল নাগাদ সর্বোচ্চ চাহিদা ১৩ হাজার মেগাওয়াটেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তারপরও ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল, কয়লা, ডুয়েল ফুয়েল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও নিউক্লিয়ার এনার্জিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার হতে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের আট বছরে ২০০৯ থেকে ২০১৬ মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করেও বিদ্যুৎ চুরি বন্ধের ব্যবস্থা করে বর্তমান সরকার একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা আছে ৭৪টি। বাংলাদেশে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশটির প্রথম পারমাণবিক কেন্দ্রের মূল নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে গত বছর। বাংলাদেশের একক বৃহত্তম প্রকল্প এটি এবং কেন্দ্রটির মূল পর্যায়ের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক জগতে প্রথম পা রাখবে। ব্যয়বহুল এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও, সফলভাবে শেষ হয়েছে এর প্রথম ধাপের কাজ। দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

এদিকে, বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি নির্মিত হচ্ছে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার উত্তরে পশুর নদীর তীরঘেঁষে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads