• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ

প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘অনির্বাণ আগামী’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৮।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ’র কর্মসুচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের সার্বিক সাফল্য জনগণের কাছে তুলে ধরাই এ সপ্তাহের মূল লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বছরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের অনুষ্ঠানে জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ বিষয়ক মন্ত্রীসহ ২০ জনেরও বেশী বিদেশী অংশগ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, জনগণকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছর জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, এমপি।

সভাপতিত্ব করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ দিকে বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বাপবিবোর্ডের আওতাধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এলাকায় র‌্যালি, গ্রাহক সমাবেশ, আগত অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ মেলার আয়োজন। এছাড়াও একই স্থানে গ্রাহক সেবা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যানার, পোস্টার ও সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, বকেয়া আদায়ে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধকরণ, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, বাপবিবোর্ডের কার্যক্রমের উপর ভিডিও চিত্র ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রদর্শন, বিদ্যুৎকর্মীদের নিরাপত্তামূলক মহড়া ইত্যাদি আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে , বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৯৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩,৮১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ১৪,১৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads