• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

জয়িতা স্টল ঘুরে দেখছেন এক ক্রেতা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

উদ্যোক্তা

নারী উদ্যোগের বিকাশ

১২তলা ভবন পাবে জয়িতা ফাউন্ডেশন

  • মো. জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০১৮

প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুবিধা করে দিতে ২০১১ সালে সরকারি উদ্যোগে ঢাকায় জয়িতা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠন করা হয় স্থায়ী প্রতিষ্ঠান জয়িতা ফাউন্ডেশন। সময়ের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির আওতা ও পরিধি বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটির জন্য ১২ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছ, ১৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবের বিষয়ে এরই মধ্যে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

সভায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পুনর্গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধিত ডিপিপি আবারো পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে অনুমোদন পেলে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে জয়িতা ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত অধিদফতর।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক বিভাগের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে অবকাঠামোসহ জয়িতা ফাউন্ডেশনের সদর দফতর নির্মাণ করা হবে। এর ফলে দেশের আগ্রহী নারী সমাজ বিভিন্ন ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া তাদের পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার সুযোগও বাড়বে। এসব বিষয় বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়বে। এ বিবেচনায় সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্পটির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। 

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারী-পুরুষ সবার উন্নয়ন নিশ্চিত হলে দেশের সার্বিক উন্নতি হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্থা মহিলাবিষয়ক অধিদফতর নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত করতে ২০১১ সালে নারী উদ্যোক্তা প্রয়াস শীর্ষক তিন বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এর আওতায় দেশের পল্লী অঞ্চলের নারীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার নিজস্ব এক বিঘা জমিতে অবকাঠামো সুবিধাসহ ১২তলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয় ১৬২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রকল্পের ব্যয় ১৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ছাড়া অনুমোদনহীন অবস্থায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছর ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী অর্থবছর এতে বরাদ্দ দেওয়া হবে ৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ও সর্বশেষ অর্থবছরে ১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads