• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ম্যাখোঁর অর্থনৈতিক সংস্কারের  বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ

রাজধানী প্যারিসে মঙ্গলবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়

আলজাজিরা

ইউরোপ

ম্যাখোঁর অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০১৮

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সে দেশের পনেরো হাজারের বেশি সরকারি খাতের শ্রমিক। সরকারি খাতে ম্যাখোঁর পরিকল্পিত অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরোধিতা করে গত মঙ্গলবার রাজধানী প্যারিসে ওই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

বিক্ষোভে সরকারি স্কুলের শিক্ষক, পুলিশ কর্মচারী, পরিবহন শ্রমিক থেকে এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকরাও অংশগ্রহণ করেন। এসময় প্যারিস পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের বিভিন্ন অংশে সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়। মঙ্গলবারের বিক্ষোভ প্যারিসের বাইরে আরও কয়েকটি শহরে ছড়িযে যায়। পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। ইতোমধ্যেই যেসব শ্রমিক কম মজুরি এবং অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে আসছে, তাদের অধিকার ধ্বংস করতেই প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ নতুন সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

সরকারি স্ট্রিমলাইন সেবা খাতে ঋণ কমিয়ে নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরির জন্য সরকারি অন্যান্য খাত থেকে এক লাখ বিশ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন ম্যাখোঁ। যদিও এই বিক্ষোভের ফলে ম্যাখোঁ তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসবেন না বলেও জানা যায়। ফলে ফ্রান্সের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট।

গত মার্চ থেকেই বেশ কয়েকটি শ্রমিক ইউনিয়ন সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিল। ফলে অনেক সরকারি খাতে অচলাবস্থা এবং যানবাহন খাতে বিঘ্ন ঘটছে। চলতি বছরের শুরুতে ম্যাখোঁ ঋণে জর্জরিত জাতীয় রেল বিভাগকে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলে ইউনিয়ন নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের সরকারি খাত ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ক্রমেই অসন্তোষ আর বিক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে দেশটিতে।

ফোর্স ওভারি লেবার ইউনিয়নের নেতা প্যাসকেল পাভাগেও জানান, তারা সব সরকারি খাতের শ্রমিকদের সমর্থন জানাচ্ছে। এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘আমরা এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি যে, এই সংস্কার রাজনীতির ফলে মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১০ শতাংশ উপকৃত হবে, যাদের ইতোমধ্যেই সব আছে। বাকি ৯০ শতাংশকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অসাম্যতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে বর্তমানে পাচ দশমিক সাত মিলিয়ন সরকারি শ্রমিক আছে। এর আগে ১৯৯৫ সালে দেশব্যাপী সরকারি শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের ফলে রক্ষণশীল সরকারকে সংস্কার পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছিল। ১৯৬৮ সালের পর ওই আন্দোলন ছিল সবচেয়ে বড় সামাজিক আন্দোলন। ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাখোঁ তার অবস্থানে অবিচল থাকলে ফ্রান্সকে আবারো নতুন সামাজিক আন্দোলন দেখতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads