• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
দায়িত্বের সঙ্গেই মেয়াদ পূর্ণ করব : মেরকেল

অ্যাঙ্গেলা মেরকেল

ছবি : ইন্টারনেট

ইউরোপ

দায়িত্বের সঙ্গেই মেয়াদ পূর্ণ করব : মেরকেল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ নভেম্বর ২০১৮

দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেও জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে নিজের কাজ যথাযথভাবে এবং মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে আরো সক্রিয় হবেন বলেও জানান তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মেরকেল এ কথা বলেন। বিবিসি।

অ্যাঙ্গেলা মেরকেল দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করায় জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আলোড়ন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার মতো অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ নেতার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। দেশ প্রধান হিসেবে চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে তার অবস্থান কিছুটা নাজুক হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে অনেকেই। নিজের দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে তিনি আরো দুর্বল হয়ে পড়বেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলে তিনি কতটা কার্যকরভাবে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে পারবেন সেটা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জার্মানির সমন্বয়ে গঠিত জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন  মেরকেল। গত মঙ্গলবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সেই মহাদেশে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে কথা বলেন মেরকেল। বিশেষত মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মেরকেল বলেন, দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি বরং সরকারপ্রধান হিসেবে অন্যান্য বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন। আগামী জানুয়ারি মাসে জার্মানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে সাময়িক দায়িত্ব নিতে চলেছে- এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে  মেরকেলের দুর্বল উপস্থিতিতে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। সরকারের স্থায়িত্বের পাশাপাশি দলের পরবর্তী নেতা কে হবেন, তা চ্যান্সেলর হিসেবে তার ক্ষমতা নির্ধারণ করবে। এই মুহূর্তে সেই পদের জন্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে দুজন  মেরকেলের ঘনিষ্ঠ, অন্য দুজন বিরোধী হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে এককালে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত ফ্রিডরিশ  মেরৎস সিডিইউ দলের শীর্ষ নেতা হলে মেরকেলের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। জার্মানির বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পানের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক আনেগ্রেট ক্রাম্প কারেনবাউয়ার বা নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট দলের নেতা হলে মেরকেল নিশ্চিন্তে চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads