• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
২৬ ধনীর হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

২৬ ধনীর হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

ছবি : ইন্টারনেট

ইউরোপ

২৬ ধনীর হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ জানুয়ারি ২০১৯

বিশ্বের ২৬ জন ব্যক্তির যে সম্পদ আছে তা ৩৮০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের সমান। ধনী ও গরিবের মধ্যে সম্পদের এই বিশাল ব্যবধানের কারণে দারিদ্র্যের মোকাবেলা করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এ তথ্য জানিয়েছে।

ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অক্সফাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলছে, অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যতা রক্ষা করতে হলে এসব ধনী ব্যক্তির ওপর বেশি করে করারোপ করতে হবে। অক্সফাম আরো বলছে, বিশ্বের কোটিপতিদের সম্পত্তি প্রতিদিন আড়াই বিলিয়ন বৃদ্ধি পায়।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনের আগে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করল সংস্থাটি। প্রতিবছরের জানুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা দাভোসের এ সম্মেলনে অংশ নেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা আমাজন ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গের কোটিপতি সূচক অনুসারে, ৫৪ বছর বয়সী জেফ বেজোসের এখন সম্পদের পরিমাণ ১৪০ বিলিয়ন ডলার। অক্সফাম বলছে, তার সম্পদের এক শতাংশ প্রায় এগারো কোটি মানুষের দেশ ইথিওপিয়ার মোট স্বাস্থ্য বাজেটের সমান। গত বছর ৩৮০ কোটি মানুষের মোট সম্পদ ১১ শতাংশ কমেছে। অক্সফাম বলছে, ধনী ও গরিবের মধ্যে সম্পদের এই বিশাল ব্যবধানের কারণে দারিদ্র্যের মোকাবেলা করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। আর যা অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা এক বিবৃতিতে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। সরকার স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো খাতগুলোয় অর্থায়ন করছে না কিন্তু ঠিকই বিত্তবানদের অনেক ক্ষেত্রে কর মওকুফ করে দিচ্ছে। অক্সফামের ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত কয়েক দশক ধরে কর ফাঁকি দিয়ে আসছে।

অপরদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়, কোনো ওষুধ ছাড়া চলছে হাসপাতাল। আর এ রকম বৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads