• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন বাড়ছে

ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপ

ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন বাড়ছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ জুন ২০১৯

মাঝে কয়েক বছর কম গেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিস (ইএএসও) বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই আশ্রয় চেয়ে জমা পড়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ আবেদন। গত বছর যা ছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার।

এবার সিরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। গেল বছরের তুলনায় যা বেড়েছে ৮ শতাংশ। ইউরোপিয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিসের তথ্যমতে, ২০ হাজার ৩৯২ সিরীয় নাগরিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভেনিজুয়েলার নাম। দেশটির ১৪ হাজার ২৫৭ নাগরিক আশ্রয় চেয়ে ইউরোপে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আফগান নাগরিকদের আবেদনের হার গত বছরের চেয়ে বেড়েছ ৩৬ শতাংশ, সংখ্যায় ১৪ হাজার ৪২। ৮ হাজার ৯৭টি আবেদন করেছে কলম্বিয়ার নাগরিকরা। পরিসংখ্যান বলছে, গতবারের তুলনায় যা ১৩৬ শতাংশ বেশি।

ইএএসও’র তথ্য অনুযায়ী ওয়েস্ট বলকানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আলবেনিয়া আর ককাস স্টেটের মধ্যে জর্জিয়া থেকেও আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে। আর যেসব দেশের নাগরিকরা সেনজেনভুক্ত, তারা বিভিন্ন দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পান, তাদের আবেদনের হার বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

রিপোর্টে তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিতাড়নও বাড়ছে। আর এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে। আশ্রয়প্রার্থীদের বের করে দেওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেছেন জার্মানিতে অবস্থিত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ডমিনিক বার্টশ। তিনি জানান, আফগানিস্তানের আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া মানে তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া।

বার্টশ জানিয়েছেন, ইউএনএইচসিআর ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে না। তার মতে, আশ্রয়প্রার্থীরা কোন ভূখণ্ড থেকে এসেছে সেটা বিবেচনায় নেওয়া উচিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আফগানিস্তান এমন একটি দেশ, যেখানে বেসামরিক নাগরিকরা সারাক্ষণ নিহত কিংবা আহত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

তবে আফগানিস্তান ও সুদানের নাগরিকদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আবেদন জানিয়েছে প্রো-অ্যাসাইলাম নামের একটি সংগঠন। মূলত, জার্মানিতে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ও আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে সংস্থাটি। এমনকি সিরীয় ও ইরাকি নাগরিকদেরও ফিরিয়ে না দিতে জার্মান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি। অন্যদিকে, আট বছরের গৃহযুদ্ধ, সন্ত্রাসী ঝুঁকি সত্ত্বেও সিরীয় নাগরিকদের বিতাড়নে জার্মান সরকারের কাছে আবেদন জানাতে যাচ্ছে বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ, বাভারিয়া এবং স্যাক্সোনি রাজ্য।

পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল পর্যন্ত জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক ফেডারেল অফিস ১৪৫ আশ্রয়প্রার্থীর আপিল আবেদন খারিজ করেছে। এখন পর্যন্ত দুজনকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে দেশটি, যা মোট আবেদনের মাত্র ১.৬ শতাংশ। গত বছর মোট ৬৪৭টি আপিলের মধ্য মাত্র ৭৭টি অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads