• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ইতালিতে প্রাণ গেল আরও ৬০২ জনের 

সংগৃহীত ছবি

ইউরোপ

২০ চিকিৎসকের মৃত্যু

ইতালিতে প্রাণ গেল আরও ৬০২ জনের 

মোট আক্রান্ত ৬৩ হাজার ৯২৭ জন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ মার্চ ২০২০

করোনার আঘাতে অনেক আগেই চীনকে ছাঁড়িয়ে মৃত্যুর প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখন করেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত শনিবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮০০ জনের মৃত্যুর পর গত দুদিনে কমতে শুরু করেছে প্রাণহানির ঘটনা। 

২৪ ঘণ্টায় আবারও কমেছে লাশের মিছিল। এবার নতুন করে মারা গেছেন ৬০২ জন। এর আগে রোববার ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। 

অপরদিকে আক্রান্তের মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নুতন নাম। প্রতিনিয়ত প্রাণহানির তুলনায় আক্রান্ত হওয়ার হার কয়েকগুণ। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবারও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। 

চীনের বাহিরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার ৭৮৯ জন সংক্রমিত হয়েছে। আর এ নিয়ে ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৯২৭ জনে। 

আক্রান্ত ও প্রাণহানির এসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে দেশটির লম্বার্ডিয়া অঞ্চলে। এ পর্যন্ত ইতালিতে ২০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে।

মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ভো শহরের মানুষ এই কঠিন সময়ের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি ও রোগীকে সতর্কতার সঙ্গে আইসোলেশনে রাখার কারণে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে ওই এলাকার মানুষের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। 

দু’সপ্তাহ আগে যেখানে করোনা পজিটিভের মাত্রা ছিল ০.৪১ শতাংশ। চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত মাত্র একজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এই শহরে।

এদিকে, করোনা সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে। দেশের জনগণের আর্থিক সমস্যা মেটাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭৫ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা বিভাগ।

তবে এতো সব পদক্ষেপের পরও নিয়ন্ত্রণে না আসায় অনেটা হতাশ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব চেষ্টা শেষ, এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।’

করোনা ভাইরাস বিশ্বের ১৮৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭ জনের। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪১ জন।  তবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাড়ে ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads