• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

ইউরোপ

পদত্যাগ করছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২১

পদত্যাগ করছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন তিনি। করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ইতালির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। খবর সিএনএনের।  

স্থানীয় আজ সকাল ৯টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী কন্তে। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি ওই বৈঠকে তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা মন্ত্রীদের জানাবেন। এর পরই তিনি প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তেরেলা বাসভবনে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যাবেন।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইতালিতে নতুন সরকার গঠন হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটির পার্লামেন্টে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে টিকে যান কন্তে। কিন্তু সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি কন্তের জোট সরকার থেকে ইতালির ভাইবা পার্টির সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণে কন্তের ওপর আস্থা হারিয়েছেন দেশটির জনগণ।

কন্তে আজ পদত্যাগপত্র জমা দিলে প্রেসিডেন্ট চাইলে তা গ্রহণ করতে পারেন। আবার নতুন সরকার গঠনেরও আহ্বান জানাতে পারেন। কন্তে যদি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান, তবে নতুন সরকার গঠন করতে পারবেন।  এ জন্য তাকে আরও অন্তত পাঁচজন সিনেটরের সমর্থন পেতে হবে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কন্তে হয়তো নতুন সরকার গঠনের পরামর্শ চাইতে পারেন। ইতালিতে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমে এসেছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। সংবিধান সংস্কারের পরিকল্পনা করেছিলেন রেনজি। ওই পরিকল্পনার ওপর গণভোটে শোচনীয় পরাজয় দেখে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি। মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন রেনজি।

করোনার বড় ধাক্কা লেগেছে ইউরোপের বড় অর্থনীতির দেশ ইতালিতে। ওয়ার্ল্ডওমিটারসের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭২। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৫ হাজার ৮৮১ জন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬১ জন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads