• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সৌদিতে তিন বাংলাদেশির হাত-পা কর্তনের আদেশ

সৌদিতে তিন বাংলাদেশির হাত-পা কর্তনের আদেশ

প্রতীকী ছবি

প্রবাস

সৌদিতে তিন বাংলাদেশির হাত-পা কর্তনের আদেশ

স্বজনদের ক্ষমার আবেদন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ অক্টোবর ২০১৮

ভারতীয় এক নাগরিককে অপহরণ করে অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে তিন বাংলাদেশির হাত-পা কর্তনের আদেশ দিয়েছেন সৌদি আদালত। রায়ের পর ওই তিন বাংলাদেশির স্বজনরা বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সৌদি সরকারের কাছে ক্ষমার আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে জাগো নিউজ।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জুবাইলে সৌদি গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা সেজে অপহরণের চেষ্টাকালে আটক হয় ওই বাংলাদেশিরা। পুলিশ হেফাজতে তাদের জবানবন্দি ও জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৮ মে দেশটির আদালত এই শাস্তি ধার্য করেন। সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা হলো- কুমিল্লার তিতাস থানার কাশীপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাউসার মাহমুদ (পাসপোর্ট এফ-১১৫২৫২০), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ঝরছার গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে শাহিনুর (পাসপোর্ট এ-০৯৭৭৭৬২) ও মাদারীপুরের রাজৈর থানার দুর্গাবার্দি গ্রামের মোহাম্মদ সৈয়দ আলীর ছেলে রুবেল খালাসি (পাসপোর্ট এবি-১৪৭২৪৭২)। সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সারোয়ার আলম প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিন বাংলাদেশির অপরাধের ধরন এবং সৌদি আদালতের রায়ের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরা হয়।

অধিক সংখ্যক অপরাধের কারণে ও অপরাধের ধরন বিবেচনা করে আদালত তিন বাংলাদেশিকে ইসলামী আইন অনুযায়ী ডাকাতির শাস্তি হিসেবে (হদ্দে হেরাবা) প্রত্যেকের ডান হাত এবং বাম পা কর্তনের আদেশ দেন। এ ছাড়াও আটক হওয়ার দিন থেকে এক বছর কারাভোগেরও রায় দেওয়া হয়। রায় কার্যকরের পর তাদের দেশে পাঠানো হবে।

শ্রম কাউন্সিলর জানান, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সময় দেওয়া হয়। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ কারাগারে তাদের সঙ্গে দেখা করে যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। কিন্তু ওই তিন বাংলাদেশি বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো যোগাযোগ করেনি। সাজা ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যে তাদের সৌদি সরকার সাজা মওকুফ করে দেবে এমন ধারণা থেকে তারা আপিল করেনি বলে দূতাবাসকে জানিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা।

অপর এক চিঠিতে শ্রম কাউন্সিলর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরাধীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমার আবেদন পাওয়া গেলে সৌদি আরবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো যেতে পারে। পরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন বাংলাদেশির পক্ষে তাদের স্বজনরা আলাদা আলাদাভাবে সৌদি সরকারের কাছে দয়া মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদিত ক্ষমার আবেদন রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ দূতাবাস ক্ষমার এই আবেদন সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পেশ করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads