• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নিলামে বিক্রি হকিংয়ের হুইলচেয়ার অর্থ যাবে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে

নিলামে বিক্রি হকিংয়ের হুইলচেয়ার অর্থ যাবে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে

ছবি : ইন্টারনেট

প্রবাস

নিলামে বিক্রি হকিংয়ের হুইলচেয়ার অর্থ যাবে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০১৮

সমকালীন পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে সেরা বলা হয় তাকে। গণিত ও জোতির্বিদ্যায়ও তিনি সবার উপরে। বিগ ব্যাং থিওরি দিয়ে কাটিয়েছেন মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে জমে থাকা হাজার বছরের ধোঁয়াশা। বিজ্ঞানের সব সূত্রকে গেঁথেছেন এক সুতোয়। পাঠকের সামনে হাজির করেছেন বিশ্বসেরা সাহিত্যের ভাষায়। তার কাজ সম্পর্কে যারা বোঝেন বা ধারণা রাখেন, তাদের অনেকেরই স্বপ্ন ছিল সেই মহাজ্ঞানী মানুষটিকে কাছ থেকে দেখার, তার স্পর্শ অনুভব করার। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে মহাপ্রয়াণ ঘটেছে সেই মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের। তার দেহাবশেষ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মহাকাশে। তবে তার স্পর্শ অনুভবের একটা সুযোগ সম্প্রতি এনে দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিস। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি হয়েছে স্টিফেন হকিংয়ের ব্যবহূত একটি হুইলচেয়ার ও পিএইচডি ডিগ্রির গবেষণাপত্রের পাণ্ডুলিপিসহ মোট ২২টি আইটেম।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত স্টিফেন হকিংয়ের ব্যবহূত লাল রঙের হুইল চেয়ারটি গত বৃহস্পতিবার দুই লাখ ৯৬ হাজার ৭৫০ পাউন্ডে বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ টাকার সমান। মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্যারালাইজড হওয়ার পরে মোটরচালিত এই হুইল চেয়ারটি ব্যবহার করতেন স্টিফেন হকিং। আর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৫ সালে করা ‘প্রোপার্টিজ অব এক্সপান্ডিং ইউনিভার্স’ শিরোনামের থিসিস পেপারটি পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫০ পাউন্ডে বিক্রি হয়।

গত ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নিলামে তোলা অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ‘সিম্পসন’ (হকিংয়ের বৃদ্ধাঙুলের ছাপসহ ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইটির একটি পরিচ্ছদ), সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র ‘স্পেকট্রাম অব ওয়ার্মহোলস’ ও ‘ফান্ডামেন্টাল ব্রেকডাউন অব ফিজিকস ইন গ্র্যাভিটেশনাল কোলাপ্স’-এর পাণ্ডুলিপিসহ আরো কিছু টুকিটাকি বিষয়।

নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিসের ভাষ্য, নিজের হাতে লেখা হকিংয়ের গবেষণাপত্র যেমন বিজ্ঞানের জ্বলন্ত দলিল, তেমনি এগুলো তার ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও বলে। তাই সেগুলো প্রত্যাশার চাইতে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, হকিংয়ের সব সামগ্রী ১৮ লাখ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

ক্রিস্টিস জানিয়েছে, চেয়ার বিক্রি করার অর্থ দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে, যার একটি স্টিফেন হকিং ফাউন্ডেশন, অন্যটি মোটর নিউরন ডিজিজেস অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads