• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

স্বাস্থ্য

হার্টের জন্য ভালো তরমুজ

  • প্রকাশিত ০৬ এপ্রিল ২০১৮

গরমে এক টুকরো তরমুজ শরীর ও মনে যেমন প্রশান্তির পরশ আনে, তেমনি তরমুজ হার্টের জন্যও ভালো। গ্রীষ্মকালীন এ ফল রক্তবাহী ধমনিকে নমনীয় ও শীতল রাখে। তরমুজের শতকরা ৯২ ভাগই পানি এবং এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই তরমুজ খেলে পেট ভরবে ঠিকই, কিন্তু ক্যালরি নিয়ে ভাবতে হবে না। তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি। পেট ভরে তরমুজ খেলেও সেই অনুযায়ী ওজন বাড়ে না। তরমুজ বেটাক্যারোটিনের একটি চমৎকার উৎস (তরমুজের লাল রঙ বেটাক্যারোটিন), যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বেটাক্যারোটিন রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। তরমুজ হলো একমাত্র ফল, যাতে পাওয়া যায় সিটরুলিন নামে এক উপাদান, যা রক্তচাপ কমায় এবং দেহকে চাঙ্গা করে তোলে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ তরমুজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে যায়। নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ফুসফুস ক্যানসার ও ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। আবার তরমুজ প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ায়। তাই এ ফল প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তরমুজ কিডনির জন্যও উপকারী ফল।

টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের দাবি, একটি তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ এত বেশি যে, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘মানবদেহ সিট্রোলিনকে আরজিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্নমাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা নাইট্রিক অ্যাসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক অ্যাসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং হূদরোগীদের জন্যও ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজ আমাদের শরীরে জমে থাকা চর্বি কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তরমুজে লাইকোপেন নামের এক ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা অন্ত্রের ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

-ফয়জুন্নেসা মণি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads