• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

স্বাস্থ্য

ক্যালোরিকে ফাঁকি দিন

  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

অফিসে ৯ ঘণ্টা কাজ করেন। তাই শরীরচর্চা করার সময় নেই। রোজকার এই ব্যস্ত রুটিনে বেছে নিন এমন খাবার যাতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম, বা ক্যালোরি প্রায় শূন্য। সুস্থ থাকার পাশাপাশি ওজনকেও বশে রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি।

বাঁধাকপি: বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঁধাকপিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ক্যালোরির পরিমাণ ২৫। এই সবজির দামও এমন কিছু বেশি নয়। সালাদ বানিয়ে বা হাল্কা তেলে রান্না করে আপনার ডায়েট তালিকায় বাঁধাকপি রাখতেই পারেন।

তরমুজ: জাঁকিয়ে গরম পড়ছে। এই সময় ডিহাইড্রেশন, পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই সময় তরমুজ খান। প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরি কাউন্ট ৩০। তা ছাড়া এতে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান থাকে। নিয়মিত তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

সেলারি: স্যালাড হোক বা স্যুপ, হেলদি ডায়েটে সেলারির খুব চাহিদা রয়েছে। ১০০ গ্রাম সেলারির ক্যালোরি কাউন্ট মাত্র ১৬। যে কোনও মৌসুমি সবজির সঙ্গেও রান্না করে খেতে পারেন। সেলারির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ওয়ান, বি টু এবং বি থ্রি যা কিডনির যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করে। ওজন কমাতে এবং রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সেলারির ভূমিকা রয়েছে।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন। প্রতি ১০০ গ্রাম টোম্যাটোতে ক্যালোরির পরিমাণ ১৮। তা ছাড়া এতে রয়েছে লাইকোপিন যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং হার্ট ভাল রাখে। টোম্যাটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবার থাকে। যা ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ফুটি: তরমুজের মতোই উপকারী এই ফলে প্রতি ১০০ গ্রামে ক্যালোরির পরিমাণ ৩৪। প্রচুর পরিমাণ জলীয় উপাদান থাকায় ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচায়। তা ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ফোলেট যা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে।

শশা: ওজন কমাতে লো ক্যালোরি ডায়েটের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছে শশা। ওবেসিটি হোক বা ডায়বিটিস, যে কোনও রোগে চিকিৎসকেরা শশা খাওয়ারই নিদান দেন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম, প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ১৬।

পেপে: স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের ডায়েট তালিকায় বহুদিন ধরেই জায়গা করে নিয়েছে পেপে। ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ পেপেতে ক্যালোরির পরিমাণ ৩৭। তা ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। তাছাড়া পেপে বীজেরও রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। পেপে বীজে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক, যা দেহে বাসা বাধা নানা ক্ষতিকর জীবাণু নাশ করে। দেহে প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে, পাশাপাশি, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads