• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য

বাড়তি পরিশ্রমে আয়ু বাড়ে

  • ফয়জুন্নেসা মণি
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৮

মানুষ প্রতিদিন তার প্রয়োজনের তাগিদে স্বাভাবিক যে কাজ করে, ইচ্ছাকৃতভাবে তার চেয়ে মাত্র তিরিশ মিনিট বাড়তি পরিশ্রম করলে তার আয়ু কমপক্ষে পাঁচ বছর বেড়ে যাবে। এই ‘তিরিশ মিনিটের পরিশ্রম’ খুঁজতে কেউ যাতে হিমশিম না খায় সেজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেসক্রিপশনে সহজ পরামর্শও দিয়ে রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ঘড়ি ধরে দুই নির্দিষ্ট গন্তব্যের মধ্যে জোর কদমে এই সময়টুকু হাঁটলেই উদ্দেশ্য হাসিল হবে। এজন্য কোনো ব্যায়ামাগারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। হাঁটা কিংবা রুটিনমাফিক শরীরচর্চা যদি সম্ভব না হয়, তবে বাড়ির টুকটাক কাজ কাজের মানুষ দিয়ে না করিয়ে নিজে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শারীরবিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় এ দাবি করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাভাবিক কাজকর্মের বাইরে কিছু বাড়তি পরিশ্রম করলে বা হাঁটলে যে উপকার পাওয়া যাবে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-

হাই ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস, স্ট্রোকসহ বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি কমবে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে, শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকা রোগজীবাণু বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে না, হাঁটার কারণে শরীরের ঝাঁকুনিতে ছোটখাটো অনেক অসুখও শরীর থেকে বিদায় নেবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের চিকিৎসাবিদ মার্ক ড্যানজনের মতে, শরীর সুস্থ রাখতে বা সুস্থ করতে ওষুধের ওপর যত কম নির্ভরশীল হওয়া যায় ততই মঙ্গল। কারণ প্রতিটি ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবেই। তাই মানুষকে শারীরিক পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করতে পারার বহুমুখী উপকারিতা আছে বলে তিনি জানান।

এই গবেষণা প্রতিবেদনে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট এবং শিশুদের জন্য ৬০ মিনিট পরিশ্রমের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এই পরিশ্রমের আওতায় গৃহস্থালির ভারী/কঠিন কাজ, হাঁটা, সাইক্লিং, সিঁড়ি ভাঙা, পারিবারিক বিনোদনমূলক খেলা এবং শিশু-কিশোরদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক খেলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। (সূত্র : ডেইলি মেইল)

-

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads