• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
হালিশহরে ছড়িয়ে পড়েছে হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস (জন্ডিস) ছড়িয়ে পড়েছে

প্রতীকী ছবি

স্বাস্থ্য

আক্রান্ত ৩৯৬ জন

হালিশহরে ছড়িয়ে পড়েছে হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৮

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস (জন্ডিস) ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৬ জন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওয়াসার দূষিত পানির কারণেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে সিভিল সার্জন দাবি করেছেন। অন্যদিকে ওয়াসার পানিতে রোগজীবাণু নেই বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ।

সিভিল সার্জন অফিস জানায়, গত বুধবার পর্যন্ত হালিশহর এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৮। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় এ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ জনে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের বেসরকারি পপুলার হাসপাতাল, সিএসিসিআর ও ম্যাক্স হাসপাতালে এসব রোগী ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়াও আরো অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজাদুর রহমান জানান, হালিশহর এলাকা এখন জন্ডিসের দুর্যোগে আক্রান্ত। ঘরে ঘরে জন্ডিস রোগী। শুধু ওয়াসার নোংরা দূষিত পানিই এর একমাত্র কারণ। শুধু হালিশহরেই নয়, গোটা চট্টগ্রামে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, এখন পর্যন্ত ৩৯৬ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ওয়াসার পানির মাধ্যমেই এ রোগ ছড়িয়েছে। ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের পানির ট্যাঙ্ক বছরের পর বছর ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। ওয়াসাকেই এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে ওয়াসার ফেটে যাওয়া পাইপের ভেতর দিয়ে দূষিত পানি প্রবাহিত হয়েছে। ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধের খবর স্থানীয়রাই দিচ্ছেন। অথচ ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পানিতে কোনো জীবাণু নেই দাবি করে দায়িত্ব সারতে চাইছে। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিভিল সার্জনের কথার কোনো ভিত্তি নেই। ওয়াসা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে হালিশহরের বিভিন্ন ভবনের ট্যাঙ্ক ও পাইপলাইন থেকে পানির নমুনা পরীক্ষা করেছে। বিশেষজ্ঞরাই বলেছেন, এ পানিতে ক্ষতিকর কোনো জীবাণু নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads