• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ওজন কমাতে রোজ খান এই ফলগুলো

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য

ওজন কমাতে রোজ খান এই ফলগুলো

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৮

খাদ্যের যে উপাদানগুলো আমাদের কর্মক্ষম রাখে, সেগুলোর মধ্যে প্রোটিন অন্যতম। আমাদের শারীরিক শক্তির মূল উপাদন হলো প্রোটিন। যা আমাদের শরীরে অনেকটা জ্বালানির মতো কাজ করে। শরীরকে চালনা করার জন্য এবং কর্মক্ষমতা বাড়াবার জন্য অত্যাবশ্যক উপাদান এটি। শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রয়োজন ১ গ্রাম প্রোটিন। অর্থাত্‍ আপনার ওজন যদি হয় ৫০ কেজি তাহলে আপনার গ্রহণ করতে হবে ৫০ গ্রাম প্রোটিন।

প্রোটিন খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর এই বড় অণুগুলিকে অ্যামাইনো অ্যাসিড নামের ছোট ইউনিটে ভেঙে ফেলে। অ্যামাইনো অ্যাসিড অনেক ধরনের জটিল শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যেমন মাংসপেশী তৈরি, সংযোগকারী টিস্যু এবং ত্বক গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রোটিন ওজন কমানোতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নানা ধরনের খিদে কমানোর হরমোন যেমন জিএলপি-১, পিওয়াইওয়াই এবং সিসিকে’র মাত্রা বাড়ায় এবং খিদের হরমোন গেরিলিনের মাত্রা হ্রাস করে, যার ফলে কম খিদে ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। মাংস, মাছ, ডাল এবং ডিম প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস বলে মনে করা হয়। উচ্চ প্রোটিন ওজন-হ্রাসের ডায়েটের অংশ হিসাবে কিছু ফল অন্তর্ভুক্ত করুন আজই। এটি আপনার খাদ্যকে আরো স্বাস্থ্যকর এবং বৈচিত্র্যময়ও করে তোলে।

ওজন কমাতে কিছু ফল রয়েছে যা দেহে প্রোটিন সরবরাহ করে। এখানে কিছু ফলের কথা বলা হলো যা প্রোটিন সরবরাহ করে ওজন হ্রাসে সহায়তা করে -


* পেয়ারা :

প্রায় ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে ২৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন থাকে। পেয়ারাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বকের জন্য ভালো এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য উপকারী। পেয়ারাতে থাকা পটাসিয়াম রক্ত ​​চাপের মাত্রা স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে। পেয়ারার জিআই সূচক কম এবং এতে ফাইবারের মাত্রা প্রচুর যার ফলে ডায়াবেটিকসের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল।


* খেজুর :

ক্যালোরি কম এবং উচ্চ ফাইবারে ভরপুর খেজুর ওজন হ্রাসের জন্য চমৎকার একটি ফল। তাজা বা শুকনো খেজুর খান। পাচন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এটি বিখ্যাত। এর উচ্চ বিটা-ক্যারোটিন মাত্রা সুস্থ দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে এবং ত্বকের জন্যও ফলপ্রসূ। খেজুরের একশো গ্রামে প্রোটিন থাকে ১৪০ মিলিগ্রাম।

* প্রুনস :

প্রুনস হল শুকনো পাম। ১০০ গ্রাম প্রুনসে ২২০ মিলিগ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রুনস ভিটামিন এ-এর একটি বিশেষ উৎস। যোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই ফল খুবই উপকারী। এছাড়া এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা হার্টের জন্য ভালো। প্রুনস হাড়ের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য উপকারী।

* অ্যাভোকাডো :

স্বাস্থ্যকর অসম্পৃক্ত ফ্যাট দিয়ে ঠাসা রক্ত ​​চাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যেকার অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্য সুস্থ হৃদয় জন্য বিশেষত উপকারী। অ্যাভোকাডো ওজন কমানোর জন্য অপরিহার্য ফাইবার সমৃদ্ধ।


* কাঁঠাল :

কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন বি ৬ যা প্রোটিনের বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টিপদার্থ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁঠালের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে খিদে পেলেই জাঙ্কফুড খাবার প্রবণতাও কমে যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads