• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
পুষ্টির সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য

পুষ্টির সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক

  • প্রকাশিত ০১ নভেম্বর ২০১৮

ক্যানসার এক আতঙ্কের নাম। জীবনঘাতী এই রোগটি যেন মৃত্যুর আরেক রূপ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে, এখন পর্যন্ত ক্যানসারের প্রতিষেধক তৈরি সম্ভব হয়নি। তাই সব থেকে ভালো পথ হচ্ছে ক্যানসার প্রতিরোধ করা। ক্যানসার যাতে শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য শরীর প্রস্তুত করা। হোক না সেটা কিছু অভ্যাস ত্যাগ কিংবা বিশেষ কিছু খাবার গ্রহণ।

৩৩ শতাংশ ক্যানসার সৃষ্টির কারণ- দেহে উচ্চমাত্রায় চর্বি, শারীরিক কোষের কর্মহীনতা, শারীরিক অক্ষমতা এবং সঠিক পুষ্টি গ্রহণ না করা; বিশেষ করে উদ্ভিজ্জ আমিষ গ্রহণ না করা, উদ্ভিজ্জ আমিষ গ্রহণ না করে অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ, চর্বি গ্রহণ, অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত এবং প্রকিয়াজাত খাবার গ্রহণ

পুষ্টির সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক অনেক। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ৩৩ শতাংশ ক্যানসার সৃষ্টির কারণ- দেহে উচ্চমাত্রায় চর্বি, শারীরিক কোষের কর্মহীনতা, শারীরিক অক্ষমতা এবং সঠিক পুষ্টি গ্রহণ না করা; বিশেষ করে উদ্ভিজ্জ আমিষ গ্রহণ না করা, উদ্ভিজ্জ আমিষ গ্রহণ না করে অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ, চর্বি গ্রহণ, অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত এবং প্রকিয়াজাত খাবার গ্রহণ।

যখন কোনো ব্যক্তির ওজন তার আদর্শ ওজন থেকে বেশি হয়, তখন তার দেহের অতিরিক্ত চর্বি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, যেমন- কোলন ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার, অন্ননালির ক্যানসার অন্যতম। ক্যানসারের আগে, পরে এবং ক্যানসারের সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস রোগীকে সহজে আরোগ্য হতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে, দেহের শক্তি বৃদ্ধিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

রঙিন শাকসবজি বিশেষ করে লাল, বেগুনি, সবুজ, হলুদ ও সাদা- এই পাঁচ রঙ যুক্ত সবজি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আমাদের দৈনিক অন্তত যে কোনো দুটি রঙের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। গাজর, মিষ্টিআলু, লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা, ফুলকপি ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

অন্যদিকে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস, তেল, চর্বি এবং মিষ্টিদ্রব্য ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিয়ার ও ওয়াইন গ্রহণ ব্রেস্ট ক্যানসারের অন্যতম কারণ এবং স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৭ শতাংশ অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

ফ্লাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবার যেমন- পেঁয়াজ, পাতাকপি, আঙুর, আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আদা, ফলিক অ্যাসিড, বিটা সিটোসস্টেরলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ক্যানসারাল বিভিন্ন উপাদান। মোটকথা   পাঁচটি অভ্যাস ত্যাগ করুন-

- উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। কারণ চর্বিযুক্ত খাবার স্তন, অন্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

- ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। ধূমপানে সর্বাধিক ক্যানসার সৃষ্টি হয়।

- জর্দা, সাদাপাতা, তামাক সেবন বন্ধ করুন। কারণ এগুলো মুখ, মাড়ি ও গলনালির ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

- মদপান থেকে বিরত থাকুন। কারণ এর দ্বারা লিভার ও পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে।

- আচার, কাসুন্দি, শুঁটকি এবং লবণ দেওয়া মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এর দ্বারা অন্ননালি এবং পাকস্থলীর ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে।

- ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করবেন।

 

পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা

কনসালট্যান্ট, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads