• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

স্বাস্থ্য

অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার

২০৫০ সাল নাগাদ মৃত্যু হতে পারে ৩০ কোটি মানুষের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৮

অকারণে এবং অতিরিক্ত ডোজে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে।

গতকাল শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা বলেন, জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত মাত্রায় মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রাণিখাদ্য ও খামারের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহূত হয়। তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে গবাদিপশু ও কৃষিপণ্যের উৎপাদন, যা জুনোটিক প্যাথোজেন্স সৃষ্টির প্রধান ক্ষেত্র। এর ফলে এখানে সংক্রামক ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে, যা থেকে মানব স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স পাওয়ারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খবর বাসস।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ- আইসিডিডিআরবি পশুসম্পদ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আরো কতিপয় সংস্থার সহযোগিতায় গতকাল সকালে আইসিডিডিআরবিতে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সরকারগুলোকে আইন প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করে অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার সীমিত করে আনতে হবে।

একই সঙ্গে তারা আরো বলেন, এ ধরনের ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ব্যবহারে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার ব্যাপক বিক্রয় প্রচারণা বন্ধে ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের ওপর কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রাইসুল আলম মণ্ডল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ান হেলথের সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা ও পশু চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ডা. নিশিথ সি দেবনাথ। বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ডেপুটি এফএও প্রতিনিধি ডেভিড ডোলান ও আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অধ্যাপক এলেন রোস।

বাংলাদেশে এফএও-ইসিটিএডি টিম লিডার ডা. এরিক ব্রুম ও ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স : ট্রাইপেট্রিয়েল এফোর্ট টু কম্ব্যাট’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেন্টার ফর কম্যুনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) ‘আউট ব্রেক কম্যুনিকেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads