উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রতি রোগীদের আস্থাও বেড়েছে। দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যাওয়ার হার কমছে দ্রুত। চিকিৎসার মান আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের পাশাপাশি চিকিৎসকদের আরো কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। যেমন, রোগীর সঙ্গে কাউন্সেলিং চিকিৎসার একটি অংশ করে তুলতে হবে। যদি হার্টের সার্জারি হয় তবে সার্জারির পরে রোগীর জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীকে জানানো দরকার, যাতে রোগী চিকিৎসার ফল দীর্ঘদিন পেতে পারেন। রোগীর একই সঙ্গে একাধিক রোগ, যেমন- হূদরোগ, ব্রেন স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থাকলে সব বিষয়ের অভিজ্ঞ চিকিৎসক মিলে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া রোগীর জন্য নিরাপদ। জটিলতা যতই থাকুক না কেন, রোগীকে সাহস জোগানো চিকিৎসকের কর্তব্য। একজন মানুষের একটি বিষয়ে সব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকাটাই স্বাভাবিক। ফলে একই বিষয় কারো কাছে জটিল আবার কারো কাছে সহজ। তাই চিকিৎসকদের মধ্যে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একে অপরের কাছে রোগীকে রেফার করার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলো যারা সম্পাদন করেন, তাদেরকেও সতর্ক হতে হবে। কারণ ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। একজন রোগীকে সঠিক ও নিরাপদ চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে চিকিৎসক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নার্সিং কেয়ার ইউনিট এবং সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকতা একান্ত কাম্য।
ডা. লুৎফর রহমান