• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ওজন কমাতে চাইলে...

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য

ওজন কমাতে চাইলে...

  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০১৯

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা অনুসরণ করার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো সম্ভব। অবশ্য অনেক সময় দেখা যায় শরীরের বাড়তি ওজন কিছুটা কমার পর আর সহজে কমতে চায় না। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মনে চললে তা হয়তো আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। এ নিয়ে লিখেছেন সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন

 

খাবারের পরিমাণ পরিবর্তন করুন : বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সেটা পরিবর্তন করতে হবে। রাতে একদম না খেয়ে থাকা যেমন ঠিক নয়, তেমনি বেশি খাওয়াও ঠিক নয়। সকালের নাশতা খেতে হবে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে যেমন বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে, ঠিক তেমনি সারাদিন কর্মক্ষম থাকার শক্তি দেবে। দুপুরে হালকা কিংবা মধ্যম পরিমাণ খান এবং রাতে খান সবচেয়ে কম।

খাবার ভাগ করে একটু পরপর খান : আপনি যে কোনো বেলায় যতটুকু খাবেন তা নিয়ে দুটি ভাগ করুন। প্রথম ভাগ খাওয়ার পর বেশ কিছুটা সময় বিরতি দিন। কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর যদি দেখেন আপনার ক্ষুধা আছে বা পেট ভরেনি, তাহলে অন্য ভাগটা খান। আর যদি ক্ষুধা না থাকে তাহলে খাবেন না। এভাবেই বেশি খাওয়ার অভ্যাসটা কমে আসবে।

আকৃতিতে ছোট প্লেটে খাবার খান : আপনি যে প্লেটে খাবার খান, সেটার আকৃতি যদি ছোট হয় তাহলে কম খাওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। কারণ ছোট প্লেটে স্বাভাবিকভাবেই কম খাবার নেওয়া যাবে এবং দেখতে অনেক খাবার মনে হবে। খাবার শেষ করলে আপনার মনে হবে আপনি অনেক খেয়েছেন। সেটা অনেকটা মানসিক শান্তিও দেবে।

ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান : বেশিরভাগ মিষ্টি ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি এবং খাদ্যআঁশ বিপাক ক্রিয়ার গতি বাড়াতে সাহায্য করে। কমলা, মাল্টা, আপেল, জাম্বুরা ইত্যাদি ফল কোমরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

ইলেকট্রনিকস থেকে কিছুক্ষণ দূরে থাকুন : আজকাল সবাই স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এগুলো নিয়ে অনেক বেশি সময় কাটায়। ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি বা ব্যায়ামের সময় কমে যায়। এগুলো থেকে কিছুটা সময় কমিয়ে শারীরিক কার্যক্রম বাড়ায়—এমন কাজে মনোযোগ দিলে তা ওজন কমানোর সহায়ক হবে।

মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন : দেহে যখন কিছু পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়, তখন বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই মাল্টিভিটামিন নিয়মিত গ্রহণ করলে সেই ঘাটতি পূরণ হবে। বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমলে ওজনও কমবে সহজে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

খাবারে ঝালের পরিমাণ বাড়ান : বেশিরভাগ খাবারে লাল মরিচ, কাঁচামরিচ, গোলমরিচ ইত্যাদি যোগ করে ঝাল বাড়িয়ে দিন। বেশি ঝাল খাবার একদিকে আপনার ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে অল্প খাবারেই পরিতৃপ্তি আনতে সাহায্য করবে।

ঠান্ডা রুমে ঘুমান : রাতে ঘুমানোর সময় ঠান্ডা রুমে ঘুমান। ঠান্ডা রুমে ঘুমালে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দেহের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা ক্রমাগত কাজ করে যাবে এবং ঘুমের মাঝেও ফ্যাট বার্ন হবে।

ওষুধ সেবনে সতর্কতা : যদি দেখেন ওজন কমানোর জন্য সব চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত ওজন কমানো যাচ্ছে না, তখন আপনি নজর দিন ওষুধের দিকে। অ্যালার্জির ওষুধ সাধারণ অ্যান্টিহিস্টামিন প্রাকৃতিক হিস্টামিনের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যার প্রভাব ফ্যাট সেল ভাঙার ওপরও পড়তে পারে। এছাড়া জন্মবিরতিকরণ ওষুধগুলো দেহে পানি আটকে রাখে, যার ফলে ওজন বাড়তে পারে।

রাতে আগে ঘুমান : যত বেশি রাত জেগে থাকবেন তত বেশি ক্ষুধা লাগবে এবং কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করবে। বেশিরভাগ সময়ই খেতে ইচ্ছে করে অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো। তাই চেষ্টা করুন আগে ঘুমিয়ে পড়তে এবং কাজ থাকলে ঘুম থেকে একটু আগে উঠুন। দেখবেন নিজেকে সতেজ লাগার পাশাপাশি হাতে সময় বেশি পাবেন। সেই সময়টা কাজে লাগাতে শারীরিক ব্যায়াম ও মেডিটেশন করুন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads