• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

স্বাস্থ্য

জীবনযাপন হোক ভারসাম্যপূর্ণ

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৯

ভারসাম্যপূর্ণ জীবন না হলে অনেক বিপত্তি ঘটতে পারে। আবার অনেকের মনে প্রশ্ন, ভারসাম্যময় জীবন গড়ে তোলার মতো একক কোনো ফর্মুলা আমাদের হাতে আছে কি? ভারসাম্য ব্যাপারটি আসলে ব্যক্তিগত কৌশল বা প্রক্রিয়া। আপনি কীভাবে ক্যারিয়ারের সহকর্মীদের সঙ্গে, প্রতিবেশীর সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে এমনকি বন্ধু ও স্বজনদের সঙ্গে সাম্যঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন তা কিন্তু একান্তই আপনার ব্যক্তিগত অভিপ্রায়। তবে জীবনের ভারসম্যতা রক্ষায় বা মেনে চলায় আছে কতিপয় কায়দা-কানুন- জানাচ্ছেন এস এম মুকুল

 

১. কোনো কাজের প্রয়োজনে অপরের সহযোগিতা নিন। অন্যের কাজে নিজেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। প্রতিবেশী ও সকহর্মীর কোনো সাহায্যের দরকার আছে কি না জেনে নিন।

২. পরিবারের বড়দের পাশাপাশি ছোটদের দিয়েও কাজ করান, এতে একটা টিমওয়ার্ক তৈরি হবে। বাড়িতে মিলেমিশে, কখনো দলবেঁধে কাজ করুন।

৩. নতুন বন্ধু, পরিবার, প্রতিবেশী, অফিস বস কিংবা কলিগ— এদের কোনোরকম সহযোগিতা লাগবে কি না জেনে নিন।

৪. অপরাধপ্রবণতা মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে, আবেগীয় মুহূর্তগুলোকে নষ্ট করে, যা আপনার বর্তমান সময়টাকে অচল করে তুলবে। তবে যুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পারলে অপরাধপ্রবণতা বা এ মানসিকতা থেকে সহজে পার পাবেন।

৫. নিজেকে রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সাধ্যের মধ্যে থাকা। এ অভ্যাস অন্য লোকদের থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। অন্য লোকদের আচরণ থেকে কী গ্রহণ করবেন বা কী করবেন না, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিন।

৬. আপনার দায়িত্ব ও শক্তি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কোনটা উচিত আর কোনটা উচিত নয়। সীমাবদ্ধতা বলে একটি কথা আছে। অর্থাৎ সবকিছুর একটা সীমারেখা আছে, জীবনে সেটা মেনে চলুন।

৭. নিজের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখুন ও আস্থা নিয়ে কাজ করুন। পরিবার কিংবা অফিস— সবখানেই সমঝোতা করে চলতে হয়। সমঝোতার নামই জীবন। নিজের পরিবেশ-প্রতিবেশী সবকিছু নিয়ে নিজের মতো করে থাকার চেষ্টা করতে হয়।

৮.  আপনি একজন ভালো মা, ভালো বাবা, ভাই, বন্ধু কিংবা ভালো অফিস কলিগ হোন না কেন, প্রথমেই নিজের প্রতি যত্নবান হোন। সব সময় টেনশনমুক্ত বা চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। নিজের জন্য সময় বের করলে শুধু যে নিজে উপকৃত হবেন তা নয়, বরং পরিবারের জন্যও প্রচুর কাজ করতে পারবেন।

৯. কাজ শুরুর আগে তালিকা তৈরি করুন, গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আগে করতে পারেন।

১০. সময়ের কারণে অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা হয়ে ওঠে না। তখন নিজেকে শান্ত রাখুন। আপনাকে বুঝতে হবে, শিশুরা এক মিনিটের নোটিশে অনেক কিছু পরিবর্তন করে ফেলে। এর জন্য নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখুন যে কোনো সময়ে তাদের যে কোনো কাজ করে দেওয়ার জন্য।

১১. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটান। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিন।

১২. একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার দক্ষতা অর্জন করুন। পরিবারের যে কোনো বিষয়কে গভীরভাবে উপলব্ধি করুন। পরিবার, কাজ এবং বন্ধু সবাইকে নিয়ে জীবনের গতি সৃষ্টি করুন।

এসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে। কোনো সুনির্দিষ্ট ফর্মুলা ছাড়াই সম্ভব। মনে রাখবেন, জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে নির্দিষ্ট কোনো ফর্মুলা নেই। আপনার তৈরি করা প্রক্রিয়াটিই আপনার জন্য সর্বোত্তম ফর্মুলা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads