• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জানতে হবে শুরুর আগেই

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য

পিরিয়ড বিড়ম্বনা

জানতে হবে শুরুর আগেই

  • ফয়জুন্নেসা মণি
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২০

সন্তান জন্মদানে সক্ষম প্রতিটি নারীর জীবনের অবধারিত একটি ঘটনার নাম পিরিয়ড। একজন নারীর শারীরিক সুস্থতার লক্ষণও প্রকাশ পায় নিয়মিত পিরিয়ড চক্রের মাধ্যমে। কিন্তু এই সময়ে নারীরা অসচেতন ও কিছু কুসংস্কার মেনে ভুল করে থাকেন, যা তাদেরই মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই একটি জীবনপ্রক্রিয়া ছাড়া আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে মানব জাতির বিস্তার ঘটা হয়তো সম্ভব হতো না। অথচ এখনো আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই স্বর্ণযুগে এসেও এই স্বাভাবিক ও সর্বজনীন ব্যাপারটিকে নিয়ে অহেতুক গোপনীয়তা, কুসংস্কার, ট্যাবুতে বিশ্বাস করি। নারীর বয়ঃসন্ধিকালের অন্যতম একটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য পিরিয়ড বা মাসিক। প্রতিটি মেয়ের জন্যই এটি একটি সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। একটা মেয়ের বয়স যখন ১২- ১৩ তখন তার মাসিক হয় শুরু হয়। বয়স ৫২ বা তার কাছাকাছি বয়সে গিয়ে মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। নারীদেহকে সুস্থ ও সন্তানধারণে সক্ষম করতে এই প্রক্রিয়া অতীব প্রয়োজনীয়। কিন্তু স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়াকে মেয়েরা দেখে ট্যাবু হিসেবে। আর সমাজ তো এই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে এখন পর্যন্ত প্রস্তুত নয়। মাসিক বা ঋতুস্রাব লজ্জার বিষয়; মাসিকের রক্ত দূষিত হয়; মাসিকের সময় টক খাওয়া যাবে না; মাসিকের সময় শরীর অপবিত্র হয়ে যায়; এই সময় সব ধরনের কাজ করা যায় না। ঋতুস্রাব নিয়ে এমন ভুল ধারণার শেষ নেই। এসব কারণে অনেক মেয়ের ঋতুকালীন স্বাভাবিক জীবন কঠিন হয়ে পড়ে। তার ওপর রয়েছে নানা ধরনের কুসংস্কার। ঋতুকালীন অনেকে স্কুলে যাওয়াও ছেড়ে দেয়। মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে ব্যবহারিক ও প্রাথমিক জ্ঞান অনেক মেয়েরই থাকে না। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকের মনে আতঙ্ক কাজ করে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ঋতুকালীন পরিচর্যা করতে পারে না। প্রতিটি নারীর জন্য পিরিয়ড বা মাসিক খুবই সাধারণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে মাসিক শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয়। এই মাসিকের সময় নারীদের কিছু কাজ এবং কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। যদিও অনেকেই এ ব্যাপারে সচেতন নয়।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড চলাকালে ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পিরিয়ডের রক্ত বের না হয়ে জরায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে, যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জরায়ু টিউমার বা ক্যানসারের আকার ধারণ করতে পারে। ২০১৪ সালে ভারতে একটি গবেষণা চালানো হয় এ বিষয়ে। গবেষণায় অংশগ্রহণ করা মহিলাদের মাঝে প্রায় ৪২% নারীর স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই। এছাড়াও তাদের পিরিয়ড কেন হয় বা কোথা থেকে এসেছে, সেই বিষয়েও কোনো ধারণা নেই তাদের। প্রথমবার পিরিয়ডের সময়ে তারা প্রত্যেকেই আতঙ্কে ছিল। চিকিৎসকদের মতে, পিরিয়ডের সময় নারীদের বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন।

১। পিরিয়ড চলাকালে ঠান্ডা পানি, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।

২। এসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া আলগা হয়। ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

৩। এসময় শসা খাবেন না। কারণ শসার মধ্যে থাকা রস পিরিয়ডের রক্তকে জরায়ু প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৪। এছাড়াও লক্ষ রাখবেন, পিরিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আঘাত না লাগে, বিশেষত পেটে। পিরিয়ডের সময়টায় জরায়ু খুব নাজুক থাকে। ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সংকোচের দেয়াল ভাঙো

২০১৪ সালে বাংলাদেশে পরিচালিত একটি জরিপ থেকে জানা যায়, ৩৬ শতাংশ মেয়ে প্রথমবার পিরিয়ড হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানত না। দেখা গেছে, শুরুতেই পিরিয়ডকে ট্যাবু হিসেবে জেনে বেড়ে ওঠার কারণে পরবর্তী সময়ও তারা এই বিষয়ে জানতে বা আলোচনা করতে অস্বস্তি বোধ করে। মানসিক প্রস্তুতি না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমবার পিরিয়ডের সময় মেয়েরা ঘাবড়ে যায়, ভয়ংকর কোনো রোগ হলো কি না ভেবে দুশ্চিন্তায় ভোগে। যে পরিবারের সন্তান পিরিয়ডকে স্বাভাবিকভাবে নিতে দেখেই বড় হয় এবং পিরিয়ড বিষয়ে সঠিক শিক্ষা পায়, সে পরিবারের সন্তান নিশ্চয়ই পিরিয়ডকে ঘৃণ্য মনে করবে না। দেখা যায় অনেক মেয়েই তাদের প্যাড কেনার ব্যবস্থা করেন মা-বাবার মাধ্যমে। কিন্তু এই কাজটিতে তাদের ভাইদের অংশগ্রহণ থাকে না বললেই চলে। মনে রাখা দরকার, ‘পিরিয়ড মেয়েলি ব্যাপার’ বলে পুরুষদের যে চিন্তা তৈরি হয়, সেটাকেই আরো উসকে দেয় পরিবারের ছেলেদের এই বিচ্ছিন্নতা। তবে কেবল পারিবারিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই একটি সমাজের আমূল পরিবর্তন করতে পারে না। প্রয়োজন সামাজিকভাবে শিক্ষা ও সচেতনতার প্রসার ঘটানো। পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছেলেদের পিরিয়ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না দেওয়ার ফলে তাদেরও ভুল তথ্য জানবার ঝুঁকি থাকে। ফলস্বরূপ স্বাভাবিক এই শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়াটিকে অনেকে তাদের বিকৃত আনন্দের উৎস বানিয়ে নেয়। এ কারণেই মা-বাবা, বড় ভাই-বোন বা বয়োজ্যেষ্ঠ যে কোনো স্বজনেরই উচিত মেয়ে ও ছেলে উভয়কে বয়ঃসন্ধির প্রাক্কালে এই স্বাভাবিক পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে অবগত করা এবং তাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলা। সাধারণত পিরিয়ডের মতো বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে প্রজনন সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিধায় বড়রা এ ব্যাপারে ছোটদের সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন।

শিখতে হবে পরিবার থেকেই

পিরিয়ড প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ঘটনা, তবে গোপনীয় নয়। এটি নিয়ে অহেতুক লুকোছাপা কেবল জটিলতা আরো বাড়াবে। তাই পিরিয়ড নিয়ে কোনো কুণ্ঠা নয়, হীনমন্যতা নয়। বরং পৃথিবীর বুকে নিজের প্রজাতির ধারা অব্যাহত রাখার প্রক্রিয়ার সক্রিয় অংশীদার হিসেবে নারী গর্বিত হোক। পরিবার তার এই পদচারণায় পাশে থাকুক সহায়ক হয়ে, বাধা হয়ে নয়। এ সময় নারীরা শরীর ভারী বোধ হওয়া, ব্রণ, ঘুম ও হজমে সমস্যা, ক্লান্তি অনুভব করা, নির্দিষ্ট কিছু খাবারের (যেমন- আইসক্রিম, আলুর চিপস, চকলেট ইত্যাদি) প্রতি সাময়িক আসক্তি তৈরি হওয়া, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন, যেমন মনঃসংযোগ করতে সমস্যা হওয়া। উদ্যম হারিয়ে ফেলা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, পছন্দের কাজেও আগ্রহ না থাকা এমন প্রায় দেড়শ রকমের উপসর্গ চগঝ-এর অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ৮৬% নারী চগঝ-এর এক বা একাধিক উপসর্গে ভুগে থাকেন বলে জানিয়েছেন। নারী একাই এ পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দিতে পারেন, তবে সবার আন্তরিক সহযোগিতায় তা তুলনামূলক সহজ হয়ে ওঠে। পিরিয়ডের সময় স্ত্রীর মানসিক অস্থিতিশীলতা, হুটহাট রেগে যাওয়া, অতিসংবেদনশীলতার কারণে অনেক স্বামীই শারীরিক ও মানসিকভাবে স্ত্রীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন এসময়। এই ব্যাপারটি স্ত্রীকে আরো বেশি মর্মাহত করে। এর পরিবর্তে স্বামীরা পিরিয়ড ব্যাপারটিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে, স্ত্রীর চগঝ-এর সময়কার আচরণের ধরন বোঝার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে এলেই পরিস্থিতি অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

পিরিয়ডের সময় জরুরি স্বাস্থ্য সচেতনতা

স্যানিটারি প্যাড কতক্ষণ ব্যবহার করা যাবে, কখন এবং কীভাবে বদলাতে হবে, নিজেকে কীভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে, ব্যবহূত প্যাড কোথায় কীভাবে ফেলতে হবে, ব্যবহার্য কাপড় ধোয়া ও শুকানোর স্বাস্থ্যকর নিয়ম কী, এমন খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ে মেয়েদের স্পষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। প্রাথমিকভাবে এই নিয়মকানুনগুলো শেখানোর দায়িত্ব পরিবারের সদস্যদেরই। একই সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সমাজসেবক এবং গণমাধ্যমগুলোকেও। প্রয়োজনমতো পরিষ্কার হওয়া ও প্যাড পরিবর্তনের সুবিধার্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস এবং জনসমাগমপূর্ণ স্থানগুলোতে (যেমন শপিংমল, স্টেশন) নারীদের জন্যে পর্যাপ্ত আলো, পানি ও ময়লা ফেলার ব্যবস্থাসম্পন্ন পরিষ্কার টয়লেট থাকা জরুরি। একইভাবে স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদেরও উচিত তাদের নারী সহপাঠীর প্রতি খেয়াল রাখা। কারো পিরিয়ড চলছে জানার পর তার সাথে আচার-আচরণে বাড়তি সহনশীল থাকা, হঠাৎ কারো পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে তাকে সাহায্য করাটাই বন্ধুদের দায়িত্ব। যেসব প্রতিষ্ঠানে নারীকর্মী রয়েছেন, তাদের উচিত পিরিয়ডের সময়ও স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। নারীদের এই বিশেষ সময়ের জন্য আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা, বিশ্রামঘর, পৃথক টয়লেট, হ্যান্ডওয়াশ/স্যানিটাইজার এবং চগঝ-এর উপসর্গজনিত কষ্ট লাঘবের জন্যে কিছু ওষুধ ফার্স্ট এইড বক্সে মজুদ রাখাও জরুরি দরকার।

মেয়েদের বিশেষ সমস্যা নিয়ে নির্মিত ছবি ‘পিরিয়ড : অ্যান্ড অফ সেনটেনস’

একানব্বইতম অ্যাকাডেমি পুরস্কারের ‘ডকুমেন্টারি শর্ট সাবজেক্ট’ বিভাগে মনোনীত হলো  ভারতীয় ছবি ‘পিরিয়ড : অ্যান্ড অফ সেনটেনস’। গ্রামীণ ভারতে মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা। একদিকে যখন শতাব্দী প্রাচীন লিঙ্গ বৈষম্যের রীতিতে আস্থা রেখে চলা শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া ঘিরে উত্তাল হয়েছে কেরালা, ঠিক তখনই এই ছবির মনোনয়ন বিশেষ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। পরিচালক রায়কা জেহতাবচি এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন। সিনেমাটির প্রেক্ষাপট দিল্লির অদূরে হাপুর গ্রামের মেয়েদের সংগ্রাম। ঋতুস্রাবের বিষয়ে বদ্ধমূল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছেন হাপুরের মেয়েরা। কয়েক প্রজন্ম ধরে এই গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এর ফলে রীতিমতো স্বাস্থ্যহানির শিকার হয়েছেন গ্রাম্য মহিলারা। এমনকি, এই কুসংস্কারের ফলে কিশোরীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এরপর হাপুর গ্রামে হঠাৎ একটি স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়। বলতে গেলে এই যন্ত্রই চোখ খুলে দেয় গ্রামের মেয়েদের। স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিষয়ে ক্রমশ সচেতনতা বাড়তে থাকে মেয়েদের মধ্যে। এরপরই প্যাড তৈরি করে তা বাজারজাত করার কাজে মন দেন মহিলারা। তাদের এই পণ্যের নাম হয় ‘ফ্লাই’। এই সফল উড়ানে খুব তাড়াতাড়ি গ্রামীণ অর্থনীতিতে আসতে থাকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সামগ্রিকভাবে এই গল্পই বলেছে ‘পিরিয়ড : অ্যান্ড অফ সেনটেনস’।

পিরিয়ড নিয়ে কুসংস্কার দূর করছেন মালিঙ্গা!

উগান্ডার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম পিজি। এই গ্রামে মেয়েদের পিরিয়ড সময়ের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা রকম কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার প্রচলন রয়েছে। এ জন্য ওই গ্রামের স্কুলগুলোর সকালের শিফটে মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন কী পরিচর্যা করতে হবে, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। মালিঙ্গা বলেন, ‘আমাকে নিয়ে বেশিরভাগ পুরুষ একটা বিষয়ে নালিশ করত যে আমি মেয়েলি বিষয়ে কেন কথা বলছি। এসবের সঙ্গে তো ছেলেদের কোনো সম্পর্ক নেই। সে সময়ে আমি তাদেরকে বুঝিয়েছি, আমার বোন ও স্ত্রীদের পাশে আমাদেরকেই দাঁড়াতে হবে। পিরিয়ডের সময় তাদের সাহায্য করতে হবে। বুঝতে হবে ওই বিশেষ দিনগুলোতে তাদের কী কী প্রয়োজন। তবে অনেকেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারপরও আমি সব উপেক্ষা করে এই প্যাড বানানো শুরু করি। কারণ এই কাজের মাধ্যমে আমি আমার মেয়ে, আমার স্ত্রী বা আমার কোনো বোনকেই সাহায্য করছি। এতে আপত্তি তোলার কী আছে?’ প্যাড বানানোর পর মালিঙ্গা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছে প্যাড ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রচারণা চালান। উগান্ডার ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু মালিঙ্গার মতো ছোট উদ্যোক্তারা নারীর পিরিয়ড সময়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে যে কাজ করছেন, তা বদলে দিতে পারে উগান্ডার চিত্র।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads