• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
গারোদের ওয়ানগালা উৎসব বরণে চলছে প্রস্তুতি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ইতিহাস-ঐতিহ্য

গারোদের ওয়ানগালা উৎসব বরণে চলছে প্রস্তুতি

  • রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ মে ২০১৯

গারো নৃ-গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান উৎসব ‘ওয়ানগালা’ আগামীকাল ৩রা মে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২ দিন ব্যাপী এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ব্যস্ত সময় পার করছে আয়োজকরা। গারোদের এই উৎসব প্রতিবছরই পালনের মধ্য দিয়ে টিকে থাকবে তাদের প্রাচীন সংস্কৃতি এই আশাই গারো নৃ-গোষ্ঠীদের।

গারো নৃ-গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ওয়ানগালা। কৃষিভিত্তিক সামাজিক উৎসব হিসেবেও স্বীকৃত। গারো বা মান্দি ভাষায় ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ নৈবেদ্য বা দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার সামগ্রী। আর ‘গালা’ শব্দের অর্থ কোনো কিছু উৎসর্গ করা। প্রাচীন গারো সাংসারেক ধর্মাবলম্বীরা নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় শস্যের কিছু পরিমাণ সূর্য দেবতা মিসি সালজং বা সালজং মিদ্দিকে উৎসর্গ করতেন। আর শস্য উৎসর্গ করার এই উৎসবটিই ওয়ানগালা নামে পরিচত। আগে তারা নতুন উৎপাদিত ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন না। দেবতা উদ্দেশ্যে শস্য উৎসর্গের পরেই তারা ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

ঐতিহ্যবাহী আদি উৎসবের প্রথাটি প্রতি বছরই নেত্রকোণার দুর্গাপুরে পালিত হয়ে আসছে। তবে এই বছর এ এই উৎসবটি দেরিতে হলোও উৎসবটি আয়োজনের সকল প্রস্ততি নিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি। শেষ সময় এসে উৎসবের গেইট, প্যান্ডেল ও সকল প্রস্ততিতেই ব্যস্ত সময় পাড় করে আয়োজকরা। তবে উৎসবটি মূলত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন থাকায় তা সঠিক সময় অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।

২ দিন ব্যাপী এই উৎসবে জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে রেল মন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন এমপির। এছাড়াও প্রধান বক্তা মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার এমপি থাকবেন জানিয়ে আয়োজকরা।

সাংস্কৃতিক কর্মী দোলন হাজং জানায়, এখানে মূলত ৭টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের রয়েছে। এর মাঝে গারো সম্প্রদায়ের সবচেয়ে সব উৎসব এই ওয়ানগালা। এই ওয়ানগালা মধ্য নিয়ে বাংলাদেশ বসবাসরত সকল গারো সম্প্রদায় একত্রিত হয়। আর এটি একটি মিলন মেলায় রূপ নেয়। উৎসবটি খুব সুন্দর ও প্রাণবন্ত পালন হবে মনে আমরা আশা করছি। সকলের মাঝেই এক ধরনের সুন্দর ও উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক শরদিন্দু সরকার (স্বপন হাজং) বলে, উৎসবটি পালনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। আমরা সবসময় দেখি যে কোনো উৎসব হক সেটা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে আসে। তারা আমাদের সহায়তা করেন এবং আমরাও উৎসবটি ভাগাভাগি করে সেই উৎসবটি উযাপন করি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads