• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘৫১’-তেও সেরা অ্যানিস্টোন

জেনিফার অ্যানিস্টোন

ছবি : ইন্টারনেট

হলিউড

‘৫১’-তেও সেরা অ্যানিস্টোন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জেনিফার অ্যানিস্টোন। একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চিত্রপরিচালক, প্রযোজক এবং ব্যবসায়ী। অনন্য ও রূপসী এই অভিনেত্রীকে অধিকাংশই চেনে র্যাচেল গ্রিন হিসেবে। ফ্রেন্ডস সিটকমে টানা দশ বছর ধরে অভিনয় করা এই চরিত্রটিই যে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়। ধনী পিতার টাকা ওড়ানো মেয়ে, প্রথম দৃশ্যেই যাকে দেখি নিজের বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে এসেছে, শেষ মুহূর্তে বসতে ইচ্ছা হয়নি বলে। ধুলোবালির পৃথিবী থেকে অনেক দূরে বাস করা, এমনি নিজের খেয়ালখুশিমতো চলা র্যাচেলকে দশম সিজনে দেখা যায় অনেক পরিণত হিসেবে। ততদিনে বাস্তবের জেনিফার অ্যানিস্টোনের ক্যারিয়ার চলে গেছে অনেক দূর।

জেনিফারের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায়, ১৯৬৯-এ। বাবা-মা দুজনেই ছিলেন অভিনেতা। শুরুর দিকে কিছুদিন মঞ্চে কাজ করেছেন। ফ্রেন্ডস তার অভিনয় জীবনের এতটাই জুড়ে ছিল যে দর্শকদের অনেকেই তাকে সিনেমায় অন্য চরিত্রে দেখতেই চাইতেন না। হলিউডে প্রথম দিকের ব্যর্থতার পর ১৯৯৬-এ তিনি আবার চলচ্চিত্রে ফেরত আসেন। টানা বেশকিছু স্বাধীনচেতা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন অ্যানিস্টন। সমালোচকদের দৃষ্টিতে তখন পর্যন্ত তার অবস্থান ভালো ছিল না খুব একটা, সেটাও পালটে যায় ২০০২ সালের ছবি ‘দ্য গুড গার্ল’ থেকে। কম বাজেটের এই ছবিতে অ্যানিস্টন খুবই সাধারণ এক ক্যাশিয়ারের চরিত্রে অভিনয় করেন। একেবারেই গ্লামারহীন সাদামাটা একটা চরিত্রে। রজার ইবারটের মতো জাদরেল সমালোচকরাও প্রশংসা করেন তার অভিনয়ের।

২০০৩ সালে জেনিফার জিম ক্যারির বিপরীতে অভিনয় করেন কমেডি সিনেমা ‘ব্রুস অলমাইটি’তে। দর্শক তাকে র্যাচেল গ্রিনের বাইরেও ভাবতে শুরু করে এই সময় তার ক্যারিয়ারও বিস্তৃত হয় আরো। জেনিফার অ্যানিস্টোন হলিউডের সর্বাধিক আয় করা অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতে পৌঁছান।

নতুন শতাব্দীতে তার অভিনীত বেশিরভাগ ছবিই ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে বিশ্বজুড়ে। ফ্রেন্ডসের শেষ দুই সিজনে প্রত্যেক এপিসোডের জন্য অ্যানিস্টন পেতেন এক মিলিয়ন ডলার। ২০১৭-তে ম্যাগাজিন ফোবর্স তাকে সর্বোচ্চ আয় করা অভিনেত্রীর মধ্যে দ্বিতীয় হিসেবে শনাক্ত করে। ৫১ বছর বয়সে এখনো হলিউডে নিজের দাপট ধরে রেখেছেন অ্যানিস্টন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads