• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ব্লিস নিয়ে সালমা হায়েক

সংগৃহীত ছবি

হলিউড

ব্লিস নিয়ে সালমা হায়েক

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০১৯

মেক্সিকোর ছোট্ট একটি থিয়েটার হলে চলছিল মেক্সিকান ছবি ‘উইলি ওংকা অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’। দর্শক সারিতে সেদিন ছবিটি দেখছিল মেক্সিকান এক কিশোরী। ছবিটি শেষ হওয়া মাত্র বাড়ির দিকে ছুট লাগাল সে। এরই মধ্যে তার মনে বাসা বেঁধে ফেলেছে এক স্বপ্ন। অভিনেত্রী হতে হবে তাকে। তিনি নিজেকে দেওয়া কথা রেখেছিলেন। হয়েছিলেন বিশ্বের সেরা অভিনেত্রী। নাম তার সালমা হায়েক।

‘ডেসপারেডো’ ছবি দিয়ে সালমা হায়েক তার প্রথম ঝলক দেখান। ছবির নামটি সালমা হায়েকের ক্ষেত্রে বেশি মানান সই হয়। এরপর থেকে ডেসপারেডো গার্ল হিসেবে শুধু হলিউডের ছবিতে নয় সালমা হায়েক খ্যাতি পান বিশ্বজোড়া। মধ্যে অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন তিনি।

এবার বিরতি কাটিয়ে আবার অভিনয়ে নিয়মিত হচ্ছেন। নতুন ছবি ‘ব্লিস’ নিয়ে আবার ছবির জগৎ কাঁপাতে আসছেন সালমা। ছবিতে ওয়েন উইলসনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। হলিউডের বিখ্যাত চিত্রপরিচালক মার্ক কাহিলের পরিচালনায় সম্পূর্ণ রোমান্টিক ঘরনার ছবিতে দেখা যাবে রোমান্টিক সালমা-ওয়েন জুটিকে।

হলিউডের সর্বকালের সবচেয়ে আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে ভাবা হয় তাকে। খোদ সালমা হায়েক নিজেই দাবি করেন বিষয়টি। তিনি মনে করেন, এখন তিনি অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং আবেদনময়ী হয়েছেন। ৫২ বছরের এ অভিনেত্রী বলেন, অল্প বয়সে তাকে মোটেই সুন্দরী লাগত না। বরং এই প্রাপ্ত বয়সে তার বডি শেপ আগের থেকে অনেক বেশি সঠিক ও সেক্সি হয়েছে।

এমনিতে স্বাস্থ্য নিয়ে খুব বেশি সচেতন নন তিনি। খাওয়া-দাওয়া, ওয়াইন পান সবই করেন। কোনো দিন শরীর চর্চার জন্য ব্যায়ামও করেননি। তবে ইদানীং যোগাসন করছেন বলে জানান এ অভিনেত্রী। সালমা বলেন, ‘এত দিন বডিলাইন সঠিক না হওয়ার কারণে ক্যারিয়ারে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। অন্য দক্ষ অভিনেত্রীদের ৩২, ৩৩ বছরেই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এই বাজারে এখনো সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

অভিনয়ে সালমার হাতেখড়ি মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সেই বয়সে অভিনয় করেন মেক্সিকান টেলিভিশন সিরিজ ‘তেরেসা’য়। ১৯৮৯ সালের এই টিভি ধারাবাহিক হায়েককে তারকা বানিয়ে দেয়। ১৯৯৫ সালে ‘দ্য অ্যালে অব মিরাকলস’ সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি। মেক্সিকোর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সব থেকে বেশি পুরস্কার জিতে নেয় সেই ছবি। সালমাও তার অভিনয় যোগ্যতা দিয়ে ‘এরিয়েল অ্যাওয়ার্ড’ (মেক্সিকান অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড)-এর জন্য মনোনীত হন।

১৯৯১ সালে হায়েক হলিউডে পাড়ি জমান। ইংরেজিতে দুর্বল হলেও ‘ডেসপারেডো’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। এই ছবিটিই তাকে হলিউডে জনপ্রিয় করে তোলে। এর পর থেকেই একের পর এক ছবি করতে থাকেন তিনি। ‘দ্য ফ্যাকাল্টি’, ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’, ‘ফুলস রাশ ইন’, ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন মেক্সিকো’, ‘আফটার দ্য সানসেট’ ও ‘ফ্রিদা’ সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ‘ফ্রিদা’ ছবিটি অস্কারে ছয়টি শাখায় মনোনীত হয়। এই ছবি দিয়েই সেরা অভিনেত্রী শাখায় মনোনয়ন পান সালমা হায়েক। তা ছাড়া তিনি পরিচালনা করেছেন ‘দ্য মালদোনাদো মিরাকল’ ছবিটি।

২০০৬ সালে ফরাসি উদ্যোক্তা ফসোঁয়া পিনুর সঙ্গে প্রেম হয় সালমার। ২০০৯ সালের ভালোবাসা দিবসে হয় বিয়ে। তাদের সংসারে আছে এক কন্যাসন্তান।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads