• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘গড কন্ট্রোল’ নিয়ে ম্যাডোনা

ছবি : সংগৃহীত

হলিউড

‘গড কন্ট্রোল’ নিয়ে ম্যাডোনা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৯

ম্যাডোনা লুইস। মার্কিন এই পপসম্রাজ্ঞীর ৬০ বছরের ৩৫ বছরই তিনি কাটিয়েছেন সংগীত জগতে। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওরল্যান্ডোয় ঘটা গুলিবর্ষণের ঘটনাকে নিয়ে ম্যাডোনা তার নতুন সিঙ্গেল ‘গড কন্ট্রোল’ নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন।

‘গড কন্ট্রোল’ নামের জন্য ম্যাডোনা সহিংস দৃশ্যের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওটিতে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওরল্যান্ডোয় ঘটা গুলিবর্ষণের ঘটনাকে স্মরণ করা হয়েছে এবং শেষ বলা হয়েছে ‘নো ওয়ান ইজ সেফ। গান কন্ট্রোল নাউ।’ গানটির ভিডিও পরিচালনা করেছেন জোনাস আকেল্যান্ড।

২০১৬ সালের জুনে ওরল্যান্ডোসে পালস নাইটক্লাবে গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছিলেন ৪৯ ও আহত ৫৩ জন। গানের কথা এবং গানের শেষে একটি লিখিত বিবৃতিতে ম্যাডোনা জোর গলায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘প্রতিবছর বন্দুকের গুলিতে নিহত হন ৩৬ হাজার আমেরিকান। এক লাখের মতো মানুষ আহত হয়। কেউ আর নিরাপদ নয়। এখনই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করুন।’ একই সঙ্গে ম্যাডোনা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী অ্যাঞ্জেলা ডেভিসকেও উদ্ধৃত করেছেন। যেসব বিষয় আমি বদলাতে পারি না, সেগুলোকে আমি গ্রহণ করি না। আর যেসব জিনিস আমি মেনে নিতে পারি না, সেগুলোকে বদলাতে চাই।’ ভিডিওটিতে ম্যাডোনাকে দেখা যায়, গানটির কথা টাইপরাইটারে টাইপ করছেন। ফাঁকে ফাঁকে দেখা যায়, তিনি নিজেকে সেদিন নাইটক্লাবে উপস্থিত দেখছেন।

নাইটক্লাবের দৃশ্যটি রক্তাক্ত, সহিংস। একজন আততায়ীকে দেখা যায় অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি করছে। ক্লাবে উপস্থিত অনেকে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে। পৃথক একটি বিবৃতিতে ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘আমি আমার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একজন শিল্পী হিসেবে আমেরিকার একটি সমস্যার প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, যে সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং নিরীহ মানুষের জীবন নিচ্ছে। আইনপ্রণেতারা আইন বদলাতে পারলে এ সংকটের সমাপ্তি হবে।’ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করতে না পারায় ম্যাডোনা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আমেরিকায় গর্ভপাতবিরোধী আইনকেও সমালোচনা করেছেন।

৩৫ বছর ধরে গানের জগতে নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন ম্যাডোনা। ম্যাডোনার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর এখন পর্যন্ত তার বিভিন্ন অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটির বেশি। এর মাধ্যমে ম্যাডোনা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। তিনিই এখন ইতিহাসে বেস্ট সেলিং নারী রেকর্ডিং সংগীতশিল্পী।

বয়স বাড়লে নারী শিল্পীরা আকর্ষণ হারান এমন ধারণাকে ম্যাডোনা তার ক্যারিয়ারে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে ম্যাডোনা নিজেই মানুষের এই ধারণাটি নিয়ে বলেছিলেন, ‘বয়স বাড়া যেন পাপ।’ ম্যাডোনা তার জীবনে অনেক মাইলফলক অর্জন করেছেন।

ম্যাডোনা আমেরিকার সবচেয়ে ধনী নারী সংগীতশিল্পী। ফোর্বসের হিসাবমতে, ম্যাডোনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ম্যাডোনার সুপার বোল পারফরম্যান্স ছিল রেকর্ড ভাঙা। ১৯৮০-এর দশকে গুগল ছিল না। তাই সে সময়ে মানুষ কী বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিল, তা নিয়ে এখন ভালো জানা যায় না। ২০১০ থেকে ম্যাডোনাকে গুগলে খোঁজার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১২ সালের মার্চে সেটা সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছায়। ২০০৪ সালে সুপার বোলে জ্যানেট জ্যাকসনের পোশাক বিভ্রাটের পর ম্যাডোনাই প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে সুপার বোলে হেডলাইনার হিসেবে পারফর্ম করেন। সে সময়ই ইন্টারনেটে ম্যাডোনাকে খোঁজার ঝড় উঠেছিল।

ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে ম্যাডোনা সবচেয়ে বেশিবার স্থান পাওয়া নারী শিল্পী। ম্যাডোনার গাওয়া ৪৬টি সিঙ্গেল ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে ম্যাডোনার চেয়ে এগিয়ে আছেন মাত্র একজন, তিনি এলভিস প্রিসলি। সেরা পাঁচে থাকার এই সাফল্য ম্যাডোনা ধারাবাহিকভাবে তিন-তিনটি দশক ধরে পেয়েছেন ১৯৮০, ১৯৯০ ও ২০০০-এ। স্পটিফাইয়ের জরিপে ম্যাডোনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো যথাক্রমে লাইক আ ভার্জিন, হাঙ আপ, হলিডে, লা ইসলা বোনিতা, লাইক আ প্রেয়ার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads