• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
টম ক্রুজের ‘টপ গান : মেভরিক’

ছবি : সংগৃহীত

হলিউড

টম ক্রুজের ‘টপ গান : মেভরিক’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০১৯

টম ক্রুজ নামটা পড়েই হয়তো আপনার কিছু অ্যাকশন দৃশ্য চোখে ভাসছে। কেননা লোকটাকে বেশি দেখা গেছে অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রেই। কখনো উড়োজাহাজের চাকা ধরে ঝুলছেন, আবার কখনো তাকে দেখা যায় উঁচু ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিতে। কখনো দেখা যায়, মেরে একাকার করছেন প্রতিপক্ষের লোকজনকে। চিত্র সমালোচকরা কৌতুক করে বলেন, টম ক্রুজের দৌড় মানেই ছবি সুপারহিট। টম ক্রুজ থাকা মানেই চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।

সম্প্রতি হলিউড তারকা টম ক্রুজ অভিনীত ‘টপ গান : মেভরিক’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ পেল। ‘টপ গান (১৯৮৬)’ সিনেমার সিক্যুয়েল থ্রিলারধর্মী এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের মাঝামাঝি। ৩৪ বছর আগের সিনেমা ‘টপ গান’ যারা দেখেছেন, তাদের আবারো স্মৃতিচারণায় বাধ্য করবে ‘টপ গান : মেভরিক’। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্যাপটেন পিটার মেভরিক হিসেবে থাকছেন ‘মিশন ইমপজিবল’ খ্যাত সুপারস্টার টম ক্রুজ। ক্যাপটেনের সেই বিখ্যাত জ্যাকেটটিও থাকছে টমের গায়ে।

এই সিক্যুয়েলে মেভরিক নতুন ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তার ফ্লাইট পার্টনার নিক গুজ ব্রাডশের ছেলে ব্রাডলি ব্রাডশকে তিনি গড়ে তুলবেন। ব্রাডলি তার পিতার মতোই বিখ্যাত বিমানচালক হয়ে উঠতে চায়। জোসেফ কোসিংস্কি পরিচালিত এই সিনেমায় টম ক্রুজ ছাড়াও প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করছেন মাইলস টেলার, ভল কিমার, জেনিফার কানেলি, এড হ্যারিস প্রমুখ। প্যারামাউন্ট পিকচারস পরিবেশিত ‘টপ গান : মেভরিক’ ২০২০ সালের ২৬ জুন মুক্তি পাওয়ার কথা।

এ মাসেই টম ক্রুজ জীবন দৌড়ের ৫৭ বছর পূর্ণ করলেন। ১৯৬২ সালে নিউইয়র্কের সারাকুজে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রকৃত নাম টমাস ক্রুজ ম্যাপোথার চতুর্থ। বাবা প্রকৌশলী, মা শিক্ষিকা। ক্রুজ স্কুলজীবনে অ্যাথলেট হিসেবে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন, আর প্রায় প্রতি রাতেই ফোর হকি খেলতেন।

১৯৮৩ সালে ‘অল দ্য রাইট মুভস’ এবং ‘রিস্কি বিজনেস’ ছবির মাধ্যমে টম ক্রুজের বর্ণাট্য অভিনয় জীবনের সাফল্যগাথা শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি পেয়ে যান এ তারকা। ১৯৯৬ থেকে ২০১১, এ সময়টিতে ‘মিশন ইমপসিবল’ ছবির সিরিজগুলোতে অভিনয় করেন হলিউডের এই তারকা।

চলচ্চিত্রের রেটিং দেওয়া প্রতিষ্ঠান রটেন টম্যাটোস গত বছরের আগস্টে জানিয়েছে, যে চলচ্চিত্রে টম ক্রুজ যত বেশি দৌড়ান, সেই ছবির ব্যবসা তত বেশি হয়! এর বিস্তারিত ফিরিস্তিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে রটেন টম্যাটোস বলছে, সিনেমা হলের পর্দায় ঘণ্টায় গড়ে ১০ মাইল গতিতে দৌড়ান টম ক্রুজ। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, প্রতি সেকেন্ডে ১৪ দশমিক ৭ ফুট পেরিয়ে যান টম। তিনি ন্যূনতম ১ হাজার ফুট দৌড়েছেন এমন চলচ্চিত্রের একটি তালিকা করেছে রেটিং দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি। তাতে দেখা গেছে, টম ক্রুজের অত্যধিক দৌড়াদৌড়িতে বক্স অফিস ভালোই জমে। এতে প্রযোজকের পকেট ফুলেফেঁপে যেমন ওঠে, সমালোচকরাও দেন স্টার মার্কস।

মেন্টাল ফ্লসের এক খবরে বলা হয়েছে, যেসব চলচ্চিত্রে টম ক্রুজ এক হাজার ফুটের বেশি দৌড়েছেন, ওই সব ছবি বিশ্বজুড়ে গড়ে ৫৩৮ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে থাকে। সমালোচকরাও সেগুলোকে দিয়েছেন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া। অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম আছে। ২০১২ সালের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছবি ‘জ্যাক রিচার : নেভার গো ব্যাক’, গত বছরের ‘দ্য মামি’ বা ২০০১ সালের ‘ভ্যানিলা স্কাই’-এ দৌড়-মারধর কম করেননি টম। কিন্তু সেগুলো তুলনামূলকভাবে সমালোচকদের বেশি প্রশংসা পায়নি। বক্স অফিসও পাত্তা দিয়েছে কম।

সিনেট অনলাইনের বিশ্লেষণ, টম বেশি দৌড়ালে ছবি হিট হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ বেশি দৌড়ানো মানেই বেশি অ্যাকশন। আর যত অ্যাকশন, তত পয়সা। সিনেটের খবরে বলা হয়েছে, মিশন ইম্পসিবল সিরিজের তৃতীয় কিস্তিতে ৩ হাজার ২১২ ফুট দৌড়েছেন টম ক্রুজ। এই ছবি আয় করেছে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। একই সিরিজের ‘ঘোস্ট প্রটোকল’-এ ৩ হাজার ৬৬ ফুট দৌড়ানোয় প্রযোজকের পকেটে ঢুকেছে ২০ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯২১ ডলার।

‘ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’-এ ভিনগ্রহের প্রাণীদের ভয়ে ১ হাজার ৭৫২ ফুট দৌড়েছেন টম ক্রুজ। তাতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৮৭২ ডলার। এই তিন ছবিতেই সবচেয়ে বেশি দৌড়েছেন টম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads