লিন্ডসে লোহান, বহু গুণে গুণান্বিতা একজন তারকা। একাধারে তিনি অভিনেত্রী, গায়িকা, প্রযোজক, ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্যবসায়ী। তবে অভিনেত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি। সম্প্রতি লোহানের তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ‘এ কাপল অব সাউন্ডট্রেক্স’ মুক্তি পেয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন লোহান। এছাড়া হলিউডের নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে বসবাস তার। তবে ব্যক্তিজীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত এবং বিভিন্ন বিতর্কের কারণে হতাশ হয়ে অভিনয় থেকে নিজেকে আপাতত দূরে সরিয়ে রেখেছেন এই তারকা। গেল মাসে এই মার্কিন তারকা ৩৩-এ পা দিলেন। লোহান শিশু বয়সেই ফোর্ডের মডেল হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। ১০ বছর বয়সেই নিয়মিত ‘অ্যানাদার ওয়ার্ড’-এ অভিনয় করতে থাকা লোহান ডিজনি পিকচার্সের ‘দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ’ (১৯৯৮ সালে) চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এই ছবির সফলতা তাকে টেলিভিশন চলচ্চিত্র ফ্রিকি ফ্রাইডে (২০০৩)-এ কাজের সুযোগ করে দেয়।
শিশুশিল্পী হিসেবে লোহানের কাজগুলো তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয় এবং মিন গার্লস (২০০৪) তাকে কিশোর আদর্শ অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। তিনি পরবর্তী সময়ে হার্বি ফুললি লোডেড (২০০৫) ও জাস্ট মাই লাক (২০০৬) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।
লোহান আইনি জটিলতায় পড়ে গণমাধ্যমের আলোচনায় আসেন এবং তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রেও যেতে হয়। আইনি জটিলতার জন্য তিনি আরো কয়েকটি কাজ হারান এবং দর্শকের কাছে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে থাকে। ২০১০-এর দশকে তিনি মাশেটি (২০১০), লিজ অ্যান্ড ডিক (২০১২) ও দ্য ক্যানিয়ান্স (২০১৩) ছবিতে কাজ করেন। ওপরা উইনফ্রির সঙ্গে তার একটি সাক্ষাৎকার ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে তাকে নিয়ে লিন্ডসে (২০১৪-১৫) নামে একটি প্রামাণ্য ধারাবাহিক নির্মিত হয়।