• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

হলিউড

পুরস্কার কন্যা জোডি কোমার

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জোডি কোমার। বিখ্যাত ইংলিশ টিভি সিরিজ ‘কিলিং ইভে’-তে একজন সাইকোপ্যাথিক রাশিয়ান ঘাতক চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন। স্বল্প সময়ের অভিনয়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন এই তারকা।

রাশিয়ান ঘাতক ‘ওকসানা আস্তানকোভা’ চরিত্রটি অভিনেত্রী জোডি কোমারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। জোডির ক্যারিয়ারে কাজের চেয়ে পুরস্কারের সংখ্যাই বেশি। যে চরিত্রে মনোযোগ দিয়েছেন, পুরস্কার বাগিয়ে এনেছেন। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন ব্রিটিশ একাডেমি টেলিভিশন পুরস্কার ও প্রাইম টাইম এমি অ্যাওয়ার্ডস।

তার অভিনীত কমেডি ড্রামা সিরিজ ‘মাই ম্যাড ফ্যাট ডায়রি’ ও ‘স্টারজ মাইনসারি দ্য হোয়াইট প্রিন্সেস’ যুক্তরাজ্যেও টিভি সিরিজের মধ্যে সবচেয় জনপ্রিয়। ‘ওকসানা আস্তানকোভা’র মতোই ‘এলিজাবেথ ক্লো গেমেল’ জোডির আরেকটি দর্শকনন্দিত কাজ।

কোমারের জন্ম ১৯৯৩ সালের ১১ মার্চ। যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এভারটন ছিলেন এফসি ক্লাবের ম্যাসেজ থেরাপিস্ট। অন্যদিকে তার মা একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে সামান্য বেতনে কাজ করতেন। ফলে জোডির ছেলেবেলা কেটেছে লিভারপুলের শহরতলিতেই। স্থানীয় সেন্ট জুলির ক্যাথলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। লেখাপড়ায় বরাবরই ছিলেন দুর্দান্ত। স্কুলে থাকা অবস্থায় অভিনয় শিক্ষকের নজরে আসেন জোডি। মূলত তার হাত ধরেই অভিনয়ের সোপান গেলেন বর্তমান সময়ের আলোচিত এ অভিনেত্রী।

জোডি প্রথম নাটকে কাজের সুযোগ পান বিবিসি রেডিওতে। সেখানে একটি অডিশিন দিতে গেলে তাকে নির্বাচিত করা হয়। এবং পরপর চারটি নাটকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। সেই থেকেই শুরু। নিজের দক্ষতা ও অভিনয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়ে টিকে গেছেন শোবিজ অঙ্গনে। এটকু একটু করে নিজেকে করেছেন পরিণত, হয়েছেন বিশ্ব শোবিজ অঙ্গনের অপরিহার্য।

২০০৮ সালে দ্য রয়েল টুডে সিরিজের একজন অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের পর থেকেই তাকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর হলবি সিটি, ডক্টর, সাইলেন্ট উইটনেটস, ক্যাজুয়ালিটি, ল’ অ্যান্ড অর্ডার : উকে, ভেরা এবং ইন্সপেক্টর জর্জ গেন্টির মতো সিরিজে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও বেশকিছু বিখ্যাত টিভি সিরিজেও এ অভিনেত্রী কাজ করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। তার মধ্যে জাস্টিস, রিমেমবার মি ও ক্লো জেমেল অন্যতম। কাজ করেছেন কৌতুক অভিনেত্রী হিসেবেও। বিবিসি ওয়ানে প্রচারিত টেলিভিশন চলচ্চিত্র লেডি চ্যাটারলিতে হাজির হয়েছিলেন একজন কমেডিয়ান চরিত্রে।

একই বছর জোডি ডক্টর ফস্টারে উপস্থিতি হয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন। যার ফলে তাকে ব্রিটিশ টেলিভিশন একাডেমি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার দেয়। এ ছাড়া জোডি বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘স্টারস অব টুমার’ খেতাপ অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ‘এ হোয়াইট প্রিন্সেস’ শিরোনামে একটি সিরিজে তরুণ এলিজাবেথের চরিত্রে অভিনয় করার পথ থেকে বায়োপিক নির্মাণের হিড়িক লেগে যায় ব্রিটিশ মুলুকে। এভাবেই এগিয়ে চলেছেন জোডি কোমার।

কিছুদিন আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে জোডি কোমার বলেন, ‘একবার পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে বেশ কয়েক দিন স্কুলের অভিনয় দলের সঙ্গে রিহার্সাল করতে পারিনি। এর শাস্তি হিসেবে দল থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়। খুব কস্ট পেয়েছিলাম বিষয়টি তখন মেনে নিতে পারিনি। অভিনয়ই ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। এখন সেসব কথা মনে হলে নিজের অজান্তেই চোখ ভিজে যায়। জীবনের একটা পর্যায়ে টাকার জন্য মদের দোকানেও (বার) কাজ করেছি আমি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads