• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

হলিউড

বিচ্ছেদের রোমন্থনে জোলি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৯

২০১৪ সালে বিয়ের পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আলাদা হন হলিউড সুপাস্টার জুটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট দম্পতি। নয় বছরের প্রেম এবং দুই বছরের সংসার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে মনে আঘাত করেছিল অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারের আবারো পুরোনো আঘাতের কথা স্মরণ করেছেন জোলি।

ফ্রান্সের একটি ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোলি বলেন, ‘আমার ভাগ্যে কী আছে জানি না, কিন্তু আমি এখন একটা সন্ধিক্ষণে আছি। নিজের শেকড়ে ফেরার মতো, নিজের কাছে ফেরার মতো। কারণ নিজেকে কিছুটা হারিয়ে ফেলেছিলাম ব্র্যাডের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সময়টাতে।’

বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘খুব জটিল সময় ছিল সেটা, নিজেকে চিনতে পারছিলাম না। নিজেকে ছোট, মূল্যহীন মনে হতো। গভীরভাবে কষ্ট পেয়েছিলাম।’

২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির শুটিংয়ে সম্পর্কে জড়ান ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তারপর ছয় সন্তান নিয়ে (এর মধ্যে তিনজনকে দত্তক নেওয়া) এক ছাদের নিচে থাকতেন তারা। সন্তানদের অনুরোধে ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু এর দুই বছর পরেই বিচ্ছেদের আবেদন করেন জোলি। বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তিন বছর লেগেছে।

১৮ অক্টোবর মুক্তি পেতে যাচ্ছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনীত ডিজনি’র ‘মেলফিসেন্ট: মিস্ট্রিজ অব ইভিল’। ২০১৪ সালের ‘মালেফিসেন্ট’-এর সিকুয়েল এটি।

বিরতির পর আবার অভিনয়ে ফিরছেন জোলি। তবে নায়িকা হিসেবে নয় তিনি ফিরছেন ভয়ংকর পরী মেলফিসেন্টরূপে। মাথায় শিং আর দুই হাতে ডানা নিয়ে বড় পর্দায় ফের কেরামতি দেখাবেন তিনি। ‘মেলফিসেন্ট : মিস্ট্রিজ অব ইভিল’ ছবির প্রথম ট্রেলারে দেখা গেছে এর চুম্বক অংশ। এটি ইউটিউবে ছেড়েছে ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স।

২০১৪ সালে মুক্তি পায় ‘মেলফিসেন্ট’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন জোলি। এতে আগাগোড়া নেতিবাচক ছিল তার ভূমিকা। তবে এই তারকা সিক্যুয়েলের শেষভাগে ইতিবাচক রূপ নেবেন। ট্রেলার শেষে সেই ইঙ্গিত রয়েছে।

গল্পে প্রিন্সেস অরোরার গডমাদার মেলফিসেন্ট। অরোরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রিন্স ফিলিপ। কিন্তু মেলফিসেন্ট নিশ্চিত নয় ব্যাপারটা মেয়ের জন্য ভালো নাকি মন্দ হবে। অনিশ্চয়তার দোলাচলে থাকা মেলফিসেন্টকে ভালোবাসা ও বিয়ে আর মানুষ সম্পর্কে ধ্যানধারণা বদলাতে আমন্ত্রণ জানায় রানি ইংগ্রিত। কিন্তু তা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মেলফিসেন্ট ধীরে ধীরে বুঝতে পারে।

আগের পর্বের মতো এবারো প্রিন্সেস অরোরা হিসেবে থাকছেন এল ফ্যানিং। নতুন যুক্ত হয়েছেন মিশেল পাইফার ও চুইয়েটেল এজিওফর। এছাড়া অভিনয় করেছেন এড স্ক্রেইন, স্যাম রিলে, হ্যারিস ডিকিনসন, ইমেল্ডা স্টনটন, জুনো টেম্পল, লেসলি ম্যানভিল। শুধু অভিনয় নয়, এবারের ছবিতে সহ-প্রযোজকের দায়িত্বও সামলেছেন জোলি। ২০১৫ সালে ‘বাই দ্য সি’ মুক্তির পর আর তাকে বড় পর্দায় দেখা যায়নি। চার বছর পর তিনি ফিরছেন বলা চলে।

ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্সের পরিবেশনায় আগামী ১৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘মেলফিসেন্ট : মিস্ট্রিজ অব এভিল’। নতুন কিস্তি পরিচালনা করেছেন নরওয়ের জোয়াকিম রোনিং।

ফরাসি লেখক চার্লস পেরোর ‘দ্য স্লিপিং বিউটি’ রূপকথা অবলম্বনে ১৯৫৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ডিজনির ‘স্লিপিং বিউটি’। ওই ছবিরই রিমেক হলো ‘মেলফিসেন্ট’। এবার আসছে এর সিক্যুয়েল। এর আগের ‘মেলফিসেন্ট’ ছবি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল জোলিকে। সেই সময় ছবির শুটিংয়ে একদিন নিয়ে যান তার সন্তান প্যাক্সকে। শুটিং স্পটে মেকআপ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন জোলি। সেখানেই ঘটনার সূত্রপাত। মাকে দেখে চিনতে পারেননি প্যাক্স। বরং মায়ের দানবীয় দর্শনে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

প্রথমে সন্তানের আচরণকে ঠাট্টাচ্ছলে নেন জোলি। প্যাক্সের পিছু পিছু ধাওয়া দেন তিনি। অমনি কেঁদে ওঠে প্যাক্স। পরে জোলিও বুঝতে পারেন পুরো বিষয়টি। এরপরই জোলিকে এমন ভয়ংকর চরিত্রে অভিনয়ে নিষেধ করে দেন প্যাক্স। তবে হাজারো অনুরোধ আর বুঝিয়ে বলার পরই অভিনয়ে অনুমতি পান জোলি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads