• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

হলিউড

২৫ বছর যুবকের প্রেমে ম্যাডোনা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২০

৩৫ বছর ধরে গানের জগতে নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন ম্যাডোনা। ম্যাটেরিয়াল গার্ল হিসেবে পরিচিত তিনি। তাকে বলা হয় ‘কুইন অব পপ’। গান গেয়ে কোটি কোটি পুরুষকে হূদয়ে ঝড় তুলে চলেছেন ৬১ বছর বয়সেও। তিনি গায়িকা, অভিনেত্রী ম্যাডোনা। প্রায় চার দশক বা ৪০ বছর ধরে বিশ্বসংগীতে রাজত্ব করছেন তিনি। এই বয়সেও নিজের রূপ ধরে রেখেছেন গায়িকা।

কিছুদিন আগে ফাঁস হয়েছিল ম্যাডোনার রূপের রহস্য। নিজেই জানিয়েছিলেন, রূপ ধরে রাখার জন্য নাকি নিজের প্রস্রাব পান করেন এই শিল্পী। এবার নতুন খবরে চমকে দিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বছর বয়সের এক যুবকের সঙ্গে নাকি প্রেমে মজেছেন ম্যাডোনা।

ডেইলি মেইলে খবর প্রকাশ হয়েছে, ৬১ বছরের মার্কিন পপ তারকা ম্যাডোনার ২৫ বছর বয়সী প্রেমিকের নাম আহমালিক ইউলিয়ামস। এরই মধ্যে ইউলিয়ামসের বাবা ও মাকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের ছেলের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন ম্যাডোনা।

প্রেমিকের চেয়ে ম্যাডোনা ৩৬ বছরের বড় হলেও মার্কিন পপ তারকার সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্কে উইলিয়ামসরা বেশ খুশি বলেই জানিয়েছেন ইউলিয়ামের বাবা-মা। শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালে লন্ডন ও ফ্রান্সে ম্যাডোনার যে শো রয়েছে, সেখানেও তার ভালোবাসার মানুষের বাবা, মাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ম্যাডোনা।

৩৫ বছর ধরে গানের জগতে নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন ম্যাডোনা। ম্যাডোনার প্রথশ অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর এখন পর্যন্ত তার বিভিন্ন অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটির বেশি। এর মাধ্যমে ম্যাডোনা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। তিনিই এখন ইতিহাসে বেস্ট সেলিং নারী রেকর্ডিং সংগীতশিল্পী।

বয়স বাড়লে নারী শিল্পীরা আকর্ষণ হারান এমন ধারণাকে ম্যাডোনা তার ক্যারিয়ারে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে ম্যাডোনা নিজেই মানুষের এই ধারণাটি নিয়ে বলেছিলেন, ‘বয়স বাড়া যেন পাপ।’ ম্যাডোনা তার জীবনে অনেক মাইলফলক অর্জন করেছেন।

ম্যাডোনা আমেরিকার সবচেয়ে ধনী নারী সংগীতশিল্পী। ফোর্বসের হিসাবমতে, ম্যাডোনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ম্যাডোনার সুপার বোল পারফরম্যান্স ছিল রেকর্ড ভাঙা। ১৯৮০-এর দশকে গুগল ছিল না। তাই সে সময়ে মানুষ কী বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিল, তা নিয়ে এখন ভালো জানা যায় না। ২০১০ থেকে ম্যাডোনাকে গুগলে খোঁজার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১২ সালের মার্চে সেটা সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছায়। ২০০৪ সালে সুপার বোলে জ্যানেট জ্যাকসনের পোশাক বিভ্রাটের পর ম্যাডোনাই প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে সুপার বোলে হেডলাইনার হিসেবে পারফর্ম করেন। সে সময়ই ইন্টারনেটে ম্যাডোনাকে খোঁজার ঝড় উঠেছিল।

ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে ম্যাডোনা সবচেয়ে বেশিবার স্থান পাওয়া নারী শিল্পী। ম্যাডোনার গাওয়া ৪৬টি সিঙ্গেল ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। এক্ষেত্রে ম্যাডোনার চেয়ে এগিয়ে আছেন মাত্র একজন, তিনি এলভিস প্রিসলি। সেরা পাঁচে থাকার এই সাফল্য ম্যাডোনা ধারাবাহিকভাবে তিন-তিনটি দশক ধরে পেয়েছেন ১৯৮০, ১৯৯০ ও ২০০০-এ। স্পটিফাইয়ের জরিপে ম্যাডোনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো যথাক্রমে লাইক আ ভার্জিন, হাঙ আপ, হলিডে, লা ইসলা বোনিতা, লাইক আ প্রেয়ার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads