• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

হলিউড

জেনিফারের নতুন মিশন

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জেনিফার লোপেজ, যিনি বহু গুণে গুণান্বিতা। অভিনেত্রী, গায়িকা হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। দীর্ঘ তেইশ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন সুপারহিট বেশ কয়েকটি সিনেমা। দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন কখনো প্রেমিকা হয়ে, কখনোবা সুপার ওমেন অথবা গোয়েন্দা হয়ে।

‘আউট অব সাইট’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য লোপেজ লাতিন আমেরিকার প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে দশ লাখ ডলার পারিশ্রমিক নিয়ে রেকর্ড গড়েন।

অভিনয়ের পাশাপাশি সংগীতজ্ঞ হিসেবেও দুনিয়াব্যাপী তার পরিচিতি। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘অন দি সিক্স’ গানের অ্যালবামের কথা কার না মনে আছে। এই অ্যালবামের প্রতিটি গান ছিল মানুষের মুখে মুখে। অভিনয় আর গানে লোপেজ যেমন সফল, তেমনই ব্যবসায়ী হিসেবে তার জুড়ি নেই। তার প্রযোজনায় বেশ কিছু আমেরিকান টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

তবে ২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘গাইগলি’ বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় কাজের পরিধি কমিয়ে দিয়েছেন। যদিও ২০০৭ সালে প্রকাশিত একটি অ্যালবাম আমেরিকার বাজারে সর্বোচ্চ বিক্রয়ের রেকর্ড গড়ে। এরপর ২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এক টানা ক্রাইম ড্রামা সিরিজে অভিনয় করেন। এতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য বগলদাবা করেন গোল্ডেন গ্লোব ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার।

কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে আবারো গণমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছেন লোপেজ। নতুন চলচ্চিত্র কিংবা গানের অ্যালবাম নিয়ে নয়। আলোচনায় এসেছেন বিয়ে নিয়ে। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার মতোই বিষয়। চতুর্থবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী লোপেজ। দীর্ঘদিনের প্রেমিক সাবেক বেসবল খেলোয়াড় রডরিগেজের সঙ্গে পাকাপাকি সম্পর্কে যেতে চাইছেন তিনি। যদিও গত বছর মার্চে দুজন এনগেজমেন্টের কাজ সেরেছেন। এবার বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন তারা। মার্কিন বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই জুটির ইচ্ছে ২০২০ সালে গ্রীষ্মের মৌসুমে বিয়ে করার। আর এই খবরে স্বাভাবিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুজনের ভক্তদের মধ্যে।

রডরিগেজ এখন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। খেলোয়াড়ি জীবনের ইস্তফা দিয়ে রীতিমতো টেলিভিশন হোস্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। জেনিফার লোপেজ ও রডরিগেজ প্রথম ২০০৫ সালে সাক্ষাৎ করেছিলেন। জানা যায়, জেনিফার লোপেজের সাবেক স্বামী মার্ক অ্যান্টনি একটি বেসবল খেলায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই লোপেজের সঙ্গে রডরিগেজের দেখা হয়। কথাও হয় সেখানেই। প্রথম দেখাই একে অপরকে মনে ধরে। কিছুদিন না যেতেই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের তৈরি হয়। আর মার্ক অ্যান্টনিকে ডিভোর্স দেওয়ার পর রডরিগেজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা লোপেজের জন্য ছিল এক তুড়ির ব্যাপার। গণমাধ্যমের কল্যাণে ৫০ বছরের লোপেজ এবং ৪৪ বছরের রডরিগেজ বেশ শক্তিশালী জুটিতে পরিণত হয়েছেন। বিয়ে নিয়ে বেশ ভালো পরিকল্পনা করছেন তারা। কোনোভাবেই যেমন-তেমন করে বিয়ে সারতে রাজি নন তারকা জুটি। শোনা যাচ্ছে, জেনিফার নাকি বলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে জমকালোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চান। একেবারে রাজরানির মতো বিয়ে চান।

মার্কিন গণমাধ্যমের মতে, শিগগিরই বিয়ের তারিখ ঘোষণা করবেন লোপেজ ও রডরিগেজ। ২০১৭ থেকে প্রেম করছেন তারা। ইনস্টাগ্রামে একসঙ্গে নানা ছবিও শেয়ার করেন। এ বছরের মেট গালায় একসঙ্গে প্রথম জুটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাদের। এই বিয়ে হলে লোপেজের চতুর্থ ও রডরিগেজের দ্বিতীয় বিয়ে হবে।

জেনিফার লোপেজের সর্বশেষ অভিনীত ছবি ‘সেকেন্ড অ্যাক্ট’ মুক্তি পায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। সিনেমাটিতে তাকে একটি ভ্যালু শপের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মায়া ভারগাসের ভূমিকায় দেখা গেছে। মায়া তার ৪৩তম জন্মদিনে চাকরিতে একটি প্রমোশন পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে তার কর্মজীবনের রেকর্ড ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। মায়া ভারগাস দোকানে আসা ক্রেতাদের চাহিদার কথা শোনার পর সে অনুযায়ী কাজ করে। এক সময় তার চাকরিটা চলে যায়। এরপর নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মেডিসন এভিনিউতে নতুন আরেকটি কাজে লেগে পড়ে। ১০৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের হলিউডি সিনেমাটির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন জেনিফার লোপেজ। এ সিনেমা তার অভিনয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জেনিফার লোপেজ মনে করেন নারীর তুলনায় পুরুষ অনেক বেশি ভঙ্গুর ও সংবেদনশীল। শক্তিশালী ও তেজস্বী নারীর প্রতি তাই এই শিল্পীর অনুরোধ, তারা যেন তাদের পুরুষের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে হিসাব করে চলেন।

‘একজন নারী হিসেবে মনে করি, আমরা সব সময়ই তা করি। আমাদের দুর্বল, সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আমার মতে সত্যটা হলো পুরুষ আরো বেশি ভঙ্গুর ও সংবেদনশীল,’ বলেন এ বিশ্বতারকা।

তাই পুরুষের ‘ভঙ্গুর মানসিকতা’র দিকে খেয়াল রেখে তাদের প্রতি আচরণে আরো ‘সচেতন’ হওয়ার কথা বলেছেন জেনিফার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন ও সংস্কৃতিবিষয়ক সাময়িকী ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মার্কিন এ শিল্পী।

সংবেদনশীল পুরুষের প্রতি অধিক সচেতন হওয়ার এই আহ্বান বিশেষ করে সেইসব নারীকে করেছেন লোপেজ, যারা ‘শক্তিশালী ও জেদি’। বলেছেন, যেসব পুরুষ খুব একটা ‘আত্মবিশ্বাসী’ নন, আর ‘আত্মনিরাপত্তা’ও নেই, তাদের প্রতি আচরণে পা মেপে অর্থাৎ সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads