• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

হলিউড

‘দ্য গডমাদার’

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

প্রযোজক, টিভি চ্যানেলে রিয়েলিটি শোর বিচারক। এমনকি যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। যিনি এত মাধ্যমে সব সময় বিচরণ করেন তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। এ তারকা নিজেই একটি ব্র্যান্ড। বলছি জেনিফার লোপেজের কথা। মানুষের বয়স বাড়লে তার ধৈর্যশক্তি কমতে থাকে। আর এ ধারণাটাকেই মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন লোপেজ। বয়স পঞ্চাশ হলেও যেন বিন্দুমাত্র কমেনি তার শারীরিক সৌন্দর্যের ঝলকানি। তার শারীরিক সৌন্দর্য এখনো আগের মতোই আলো ছড়াচ্ছে সবখানে। পঞ্চাশে পা রেখেও অষ্টাদশী বালিকার মতোই উদ্যম তার চলাফেরা।

হলিউডে অভিনয় করছেন কলম্বিয়ার কুখ্যাত মাদকসম্রাজ্ঞী ব্ল্যাঙ্কোর জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘দ্য গডমাদার’ শিরোনামের একটি ছবি। ছবিতে গডমাদারের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনাও করছেন তিনি। ব্ল্যাঙ্কোকে বলা হতো কোকেনের গডমাদার। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় তিনি কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি, নিউইয়র্ক আর ক্যালিফোর্নিয়ার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। সত্তর ও আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রের মাদক বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটান তিনি।

এমন চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে লোপেজ বলেন, ‘ব্ল্যাঙ্কোর জীবনের গল্প আমাকে অনেক কৌতূহলী করত। এমন রহস্যময় অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনকে বড়পর্দায় তুলে ধরার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা যেকোনো অভিনয়শিল্পীর জীবনে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। আশা করছি, দারুণ কিছু হবে।’

সর্বগুণের অধিকারী হলেও জেনিফার লোপেজ নিজেকে একজন গায়িকা হিসেবেই পরিচয় দেন। কণ্ঠই তার মূল সম্পদ বলে মনে করেন তিনি। গানের মানুষ হয়েও অভিনয়ে বেশ সিরিয়াস জেনিফার লোপেজ হলিউড তারকা হিসেবে চমৎকার একটি অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবশ্য এর পেছনে তার একান্ত প্রচেষ্টা সবচেয়ে বেশি কাজ দিয়েছে। হলিউডে জেনিফার লোপেজ প্রথমত একজন গায়িকা, যিনি অভিনয়ে এসে সাফল্য পেয়েছেন।

জেনিফার লোপেজ, যিনি বহু গুণে গুণান্বিতা। অভিনেত্রী, গায়িকা হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। দীর্ঘ তেইশ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন সুপারহিট বেশ কয়েকটি সিনেমা। দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন কখনো প্রেমিকা হয়ে, কখনোবা সুপার ওমেন অথবা গোয়েন্দা হয়ে।

‘আউট অব সাইট’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য লোপেজ লাতিন আমেরিকার প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে দশ লাখ ডলার পারিশ্রমিক নিয়ে রেকর্ড গড়েন।

অভিনয়ের পাশাপাশি সংগীতজ্ঞ হিসেবেও দুনিয়াব্যাপী তার পরিচিতি। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘অন দ্য সিক্স’ গানের অ্যালবামের কথা কার না মনে আছে। এই অ্যালবামের প্রতিটি গান ছিল মানুষের মুখে মুখে। অভিনয় আর গানে লোপেজ যেমন সফল, তেমনই ব্যবসায়ী হিসেবে তার জুড়ি নেই। তার প্রযোজনায় বেশ কিছু আমেরিকান টিভি সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

তবে ২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘গাইগলি’ বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় কাজের পরিধি কমিয়ে দিয়েছেন। যদিও ২০০৭ সালে প্রকাশিত একটি অ্যালবাম আমেরিকার বাজারে সর্বোচ্চ বিক্রয়ের রেকর্ড গড়ে। এরপর ২০১৬-১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এক টানা ক্রাইম ড্রামা সিরিজে অভিনয় করেন। এতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য বগলদাবা করেন গোল্ডেন গ্লোব ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার।

কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে আবারো গণমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছেন লোপেজ। নতুন চলচ্চিত্র কিংবা গানের অ্যালবাম নিয়ে নয়। আলোচনায় এসেছেন বিয়ে নিয়ে। দীর্ঘদিনের প্রেমিক সাবেক বেসবল খেলোয়াড় রদ্রিগেজের সঙ্গে পাকাপাকি সম্পর্কে যেতে চাইছেন তিনি। যদিও গত বছর মার্চে দুজন এনগেজমেন্টের কাজ সেরেছেন। এবার বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন তারা। মার্কিন বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই জুটির ইচ্ছে ২০২০ সালে গ্রীষ্মের মৌসুমে বিয়ে করার। আর এই খবরে স্বাভাবিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুজনের ভক্তদের মধ্যে।

গণমাধ্যমের কল্যাণে ৫০ বছরের লোপেজ এবং ৪৪ বছরের রদ্রিগেজ বেশ শক্তিশালী জুটিতে পরিণত হয়েছেন। বিয়ে নিয়ে বেশ ভালো পরিকল্পনা করছেন তারা। কোনোভাবেই যেমন-তেমন করে বিয়ে সারতে রাজি নন তারকা জুটি। শোনা যাচ্ছে, জেনিফার নাকি বলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে জমকালোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চান। একেবারে রাজরানির মতো বিয়ে চান।

২০১৭ থেকে প্রেম করছেন তারা। ইনস্টাগ্রামে একসঙ্গে নানা ছবিও শেয়ার করেন। এ বছরের মেট গালায় একসঙ্গে প্রথম জুটি হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাদের। এই বিয়ে হলে লোপেজের চতুর্থ ও রদ্রিগেজের দ্বিতীয় বিয়ে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads