• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

হলিউড

ম্যাডোনার বায়োপিক

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

বায়োপিক নির্মাণের জন্য ইউনিভার্সেল পিকচার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মার্কিন পপস্টার ম্যাডোনা। সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন পাস্কাল পিকচারসের অ্যামি পাস্কাল। তবে নিজের বায়োপিকে অভিনয় করছেন না ম্যাডোনা।

অভিনয়ের জন্য নতুন একজন শিল্পীর সন্ধান করছেন ম্যাডোনা। কারণ ছবিটি পরিচালনা করবেন তিনি নিজেই। গত ১৫ সেপ্টেম্বর হলিউডভিত্তিক প্রায় সব গণমাধ্যমেই এই খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তার মধ্যে হলিউড রিপোর্ট বলছে, এরই মধ্যে বায়োপিকটির জন্য স্ক্রিপ্ট গোছাতে শুরু করেছেন অস্কার-বিজয়ী জুনো ডায়াবলো কোডি।

ম্যাডোনা চরিত্রে কাকে দেখা যাবে এ নিয়ে দারুণ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তার ভক্তদের মাঝে। অনেকে হলিউডের বিভিন্ন অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করছেন। তবে ম্যাডোনা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চাইছেন নতুন কেউ আসুক এই চরিত্রে।

চলচ্চিত্রটি একজন ম্যাডোনার তারকা হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে তার ৪ হাজার ৭০০ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ হিসেবে জায়গা পাওয়ার গল্পও তুলে ধরা হবে। উঠে আসবে ম্যাডোনার সংগ্রামী জীবন ও ঘটনাবহুল বিষয়গুলো। এনি এবং ম্যাডোনা সিনেমাটি নিয়ে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক খোলামেলা আলোচনা করেছেন। একপর্যায়ে তারা বলেও দিয়েছিলেন যে, সিনেমাটির নাম বলা যেতে পারে ‘লাইভ টু টেল’। যদিও এই সিদ্ধান্ত পরে পাল্টাতে পারে বলে জানান তারা।

প্রসঙ্গত, ম্যাডোনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় একজন কণ্ঠশিল্পী। তাকে ভক্তরা ভালোবেসে পপ সম্রাজ্ঞী বলেও ডাকেন। ম্যাডোনা সুযোগ পেলেই গানের পাশাপাশি অন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান আইকনিক্স ব্র্যান্ড গ্রুপের সঙ্গে মিলে তিনি বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন ব্র্যান্ড চালু করেছেন।

৩৫ বছর ধরে গানের জগতে নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন ম্যাডোনা। ম্যাটেরিয়াল গার্ল হিসেবে পরিচিত তিনি। তাকে বলা হয় ‘কুইন অব পপ’। গান গেয়ে কোটি কোটি পুরুষের হূদয়ে ঝড় তুলে চলেছেন ম্যাডোনা এই বয়সেও। প্রায় চার দশক বা ৪০ বছর ধরে বিশ্বসংগীতে রাজত্ব করছেন তিনি। এ বয়সেও নিজের রূপ ধরে রেখেছেন গায়িকা।

কিছুদিন আগে ফাঁস হয়েছিল ম্যাডোনার রূপের রহস্য। নিজেই জানিয়েছিলেন, রূপ ধরে রাখার জন্য নাকি নিজের প্রস্রাব পান করেন এই শিল্পী।

ম্যাডোনার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর এখন পর্যন্ত তার বিভিন্ন অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটির বেশি। এর মাধ্যমে ম্যাডোনা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। তিনিই এখন ইতিহাসে বেস্ট সেলিং নারী রেকর্ডিং সংগীতশিল্পী।

বয়স বাড়লে নারীশিল্পীরা আকর্ষণ হারান এমন ধারণাকে ম্যাডোনা তার ক্যারিয়ারে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে ম্যাডোনা নিজেই মানুষের এই ধারণাটি নিয়ে বলেছিলেন, ‘বয়স বাড়া যেন পাপ।’ ম্যাডোনা তার জীবনে অনেক মাইলফলক অর্জন করেছেন।

ম্যাডোনা আমেরিকার সবচেয়ে ধনী নারী সংগীতশিল্পী। ফোর্বসের হিসাবমতে, ম্যাডোনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ম্যাডোনার সুপার বোল পারফরম্যান্স ছিল রেকর্ড ভাঙা। গত শতাব্দীর আশির দশকে গুগল ছিল না। তাই সে সময়ে মানুষ কী বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিল, তা নিয়ে এখন ভালো জানা যায় না। ২০১০ থেকে ম্যাডোনাকে গুগলে খোঁজার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১২ সালের মার্চে সেটা সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছায়। ২০০৪ সালে সুপার বোলে জ্যানেট জ্যাকসনের পোশাক বিভ্রাটের পর ম্যাডোনাই প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে সুপার বোলে হেডলাইনার হিসেবে পারফর্ম করেন। সে সময়ই ইন্টারনেটে ম্যাডোনাকে খোঁজার ঝড় উঠেছিল।

ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে ম্যাডোনা সবচেয়ে বেশিবার স্থান পাওয়া নারীশিল্পী। ম্যাডোনার গাওয়া ৪৬টি সিঙ্গেল ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। এক্ষেত্রে ম্যাডোনার চেয়ে এগিয়ে আছেন মাত্র একজন, তিনি এলভিস প্রিসলি। সেরা পাঁচে থাকার এই সাফল্য ম্যাডোনা ধারাবাহিকভাবে তিন-তিনটি দশক ধরে পেয়েছেন ১৯৮০, ১৯৯০ ও ২০০০-এ। স্পটিফাইয়ের জরিপে ম্যাডোনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো যথাক্রমে লাইক আ ভার্জিন, হাঙ আপ, হলিডে, লা ইসলা বোনিতা, লাইক আ প্রেয়ার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads