• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

হলিউড

ক্ষেপেছেন টম ক্রুজ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

সারা বিশ্বের সুন্দরীদের হূদয় হরণ করা ভুবন ভোলানো অকৃত্রিম হাসির অধিকারী ‘টম ক্রুজ’। হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজ। জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সপ্তম সিনেমা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন টম। তবে এবার শুটিং সেটের ক্রুদের ওপর বেশ ক্ষেপেছেন তিনি।

সিনেমার শুটিং চলাকালীন সময় দুই ইউনিটের ২ সদস্য করোনা নীতিমালার নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। এজন্যই তাদের ওপর টম ক্রুজের এ রাগ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পেয়েছে এই খবর।

দ্য সান তাদের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, দিনকয়েক আগেই সিনেমার শুটিং চলাকালে ২ জন ক্রুকে করোনা বিধিমালা ভঙ্গ করতে দেখেন টম। আর সে সময় ক্রুদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

টম তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘করোনা নিয়মনীতি ভঙ্গ করা আর কখনোই সহজভাবে নেওয়া হবে না। অনেক কষ্ট করে এই সিনেমায় আমরা আবারো ফিরে এসেছি। আমি কখনোই আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাই না। আর কখনো এমন কিছু চোখে পরলে তোমাদের চাকরিও চলে যেতে পারে।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত এভাবে বলার জন্য। কিন্তু তোমরা যদি কেউ নিয়ম মানতে না চাও তাহলে চাকরি ছেড়ে চলে যাও। আমি কখনোই আমার সিনেমাটি বন্ধ করতে চাই না। কাউকে আক্রান্ত দেখে মন খারাপ করতে চাই না।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইতালিতে সিনেমাটির ১২ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হন। সে কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল এ সিনেমার শুটিং। তারপর গেল মাসের দিকে শুটিং শুরু হয় নতুন করে। ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি পরিচালিত এই সিনেমা মুক্তি পাবে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর।

টম ক্রুজের প্রকৃত নাম থমাস ক্রুজের মাপোথার চতুর্থ। ক্রুজের বাবা থমাস মাপোথার ৪৯ বছর বয়সে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১২ বছর বয়সে ক্রুজের মা ক্রুজ ও বোন লি অ্যানিকে নিয়ে তার বাবাকে ছেড়ে চলে যান। টম ক্রুজ অ্যাথলেট হিসেবে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন। টম ক্রুজের পূর্বপুরুষরা ছিলেন জার্মান, আইরিশ ও ইংরেজ গোত্রের। টম ক্রুজের ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল ক্যাথলিক গির্জার যাজক হওয়ার। সেভাবেই সবকিছু এগোচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সেন্ট ফ্রান্সিস সেমিনারিতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন টম ক্রুজ। সেমিনারিতে শিক্ষার্থী হিসেবে ছিলেন প্রায় তিন বছর।

একসময় রেসলারও হতে চেয়েছিলেন টম ক্রুজ। কিন্তু এখানে স্বপ্নভঙ্গ। একসময় হাইস্কুলের রেসলিং টিমের সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু হাঁটুতে আঘাত পাওয়ার কারণে তিনি রেসলিং ছেড়ে অভিনয় শুরু করেন। হেনরি মুনরো মিডল স্কুলে পড়াকালে ক্রুজ নাটকের সঙ্গে জড়িত হন। তার অভিনীত প্রথম নাটকের নাম আইটি। ১৯৮১ সালে ‘ক্রুজ এন্ডলেস লাভ এ ট্যাপস’ ছবিতে সহকারী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে ‘অল দ্য রাইট মুভস’ এবং ‘রিস্কি বিজনেস’ ছবির মাধ্যমে টম ক্রুজের বর্ণাট্য অভিনয় জীবনের সাফল্যগাথা শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি পেয়ে যান এ তারকা। ১৯৯৬ থেকে ২০১১ এ সময়টিতে ‘মিশন ইমপসিবল’ ছবির সিরিজগুলোতে অভিনয় করেন হলিউডের এই তারকা।

ক্রুজ অভিনীত প্রায় সব ছবিই ব্লকবাস্টার হিট। তার হিট ছবিগুলো হলো- রেইন ম্যান (১৯৮৮), এ ফিউ গুড ম্যান (১৯৯২), জেরি ম্যাগুইরো (১৯৯৬), ভ্যানিলা স্কাই (২০০১), মাইনরিটি রিপোর্ট (২০০২), দ্য লাস্ট সামুরাই (২০০৩), কোলাটেরাল (২০০৪), ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ড (২০০৫), ট্রপিক থানডার (২০০৮), জ্যাক রিচার (২০১২)।

টম ক্রুজের অভিনয়ের স্বীকৃতিও কম নয়, এখন পর্যন্ত তিনটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এবং তিনটি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। ১৯৯০, ১৯৯১ এবং ১৯৯৭ সালে পিপল ম্যগাজিন ক্রুজকে বিশ্বের ৫০ জন সুন্দরতম মানুষের মধ্যে স্থান দিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads