• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সিটি করপোরেশন এলাকায় ফ্ল্যাটের জরিপ হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

সংগৃহীত ছবি

আবাসন

সিটি করপোরেশন এলাকায় ফ্ল্যাটের জরিপ হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৬ অক্টোবর ২০১৮

সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভূক্ত ফ্ল্যাট মালিকদের করের আওতায় আনতে শিগগিরই ফ্ল্যাটের জরিপ কাজ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তাদের কর সনাক্তকরণ নম্বরের (ই-টিআইএন) পাশাপাশি কর রিটার্নও বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে কর জরিপ, করনেট সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্বৃদ্ধকরণ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআরের কর কমিশনার (কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য (আয়কর জরিপ ও পরিদর্শক) মোহাম্মদ গোলাম নবী, বিজিএমইএ পরিচালক মো. মনির হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন

মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, সিটি করপোরেশনের করযোগ্য নাগরিকদের বছরে নূন্যতম ৫ হাজার টাকা কর দিতে হয়।এটি অনেকে জানেন না, কিংবা ভয়ে জানতে চান না। করযোগ্য অনেক নাগরিকই করের আওতায় আসেননি। আগামী এক বছরের মধ্যে কর নিবন্ধন দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও দ্বিগুণে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এজন্য কর জরিপ কার্যক্রমে জোর দেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন এলাকার ফ্ল্যাট মালিকদের করের আওতায় আনতে তাদের বিষয়ে খোজ নেয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের জরিপের আওতায় আনা হবে।

জনপ্রতিনিধিদের করের আওতায় আনা প্রসঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহন করা প্রতিনিধিরা সাধারণত করযোগ্য। বর্তমানে শুধু ইটিআইএন জমা দিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কর রিটার্ন জমা না দেয়ায় তাদের সম্পদের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। ভবিষ্যতে তাদের জন্য কর রিটার্ন সনদ বাধ্যতামূলক করা হবে।

এনবিআরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোশাররফ হোসেন বলেন,রাজস্ব আহরণ ও করদাতা বাড়াতে এনবিআরের অফিসের পরিবেশ উন্নত করতে হবে। আমরা কর অফিসগুলোকে আয়কর মেলায় রূপ দিতে চাই।আধুনিকায়ন ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কর দেয়া সহজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি করদাতাদের সঙ্গে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আচরণ পরিবর্তন নিয়েও কাজ করছে এনবিআর।

মেয়র সাঈদ খোকন তার বক্তব্যে বলেন,‘সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর চতুর্থ তফসিলে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকার যে কর আদায় করবে,সেখান থেকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একটা উপকর প্রদান করবে। এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে। তবে সিটি করপোরেশন সে কর পায় না। গত বছর আমরা এনবিআরকে ১২০ কোটি টাকা কর দিয়েছি। আমরা যেভাবে দিতে চাই, সেভাবে নিতেও চাই।এনবিআর করের আওতা বাড়িয়ে সিটি করপোরেশনকেও করের সুবিধা দিবে এটা আশা করছি।

গ্রাম পর্যায়ে করের আওতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের দেশের গ্রাম এখন এগিয়েছে। গ্রামের জমির দামও অনেক। শুধু সিটি করপোরেশন থেকে কর আদায় করলে হবে না। দেশের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে শহরের পাশাপাশি গ্রামে করনেট বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে জনগণের করের টাকা ব্যবহারে স্বচ্ছতা থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads