• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হল কার্লাইলকে

ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড আলেকজান্ডার কার্লাইল

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হল কার্লাইলকে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০১৮

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনি পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড আলেকজান্ডার কার্লাইলকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে দিল্লির বিমানবন্দর থেকেই লন্ডনে ফেরত পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার নয়া দিল্লিতে ‘ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাবে’ খালেদার দণ্ড নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা ছিল কার্লাইলের। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর ‘উপযুক্ত ভিসা নিয়ে না আসার’ কারণ দেখিয়ে কার্লাইলকে ফেরত পাঠানো হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, ‘তিনি ভিসার আবেদনে সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা লিখেছেন, তার সঙ্গে তার তৎপরতা সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ লর্ড কার্লাইলকে বাংলাদেশে আসতেও সরকার বাধা দিচ্ছে বলে এর আগে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মে মাসে তিনি বলেছিলেন, আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন কার্লাইল। কিন্তু হাই কমিশন তাকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’- কিছুই বলেনি।

লর্ড কার্লাইল বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে পরে বলেন, যেহেতু তিনি ঢাকায় আসার অনুমতি পাননি, সেহেতু ভারতে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সামনে কথা বলতে চান। এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা অর্থ আত্মসাতের দায়ে পাঁচ বছরের সাজায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখন কারাগারে বন্দি। এই প্রেক্ষাপেটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত মার্চে কার্লাইলকে আইনি পরামর্শক নিয়োগের ঘোষণা দিলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূত্রপাত হয়।

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইল কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান৷ যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের স্বাধীন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রায় এক দশক কাজ করা এই আইনজীবী ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের সাবেক প্রধান জন স্কারলেটের সঙ্গে মিলে এসসি স্ট্র্যাটেজি লিমিটেড নামে একটি পরামর্শ সেবা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, যা বছর তিনেক আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসে।

আর বাংলাদেশে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায়ের পর বিবৃতি দিয়ে, যেখানে তিনি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন।
এ কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা কার্লাইলকে বর্ণনা করেন ‘জামায়াতের লবিস্ট’ হিসেবে। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্লাইল বলেছিলেন, আইনের মানদণ্ডে নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে খালেদা জিয়ার সাজার ওই রায় হয়েছে।

আর বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তাদের চেয়ারপারসনকে একাদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকার ‘সাজানো মামলায়’ তাকে জেলে পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads