• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
আসাম নিয়ে লোকসভা মুলতবি প্রস্তাব কংগ্রেস ও তৃণমূলের

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

আসাম নিয়ে লোকসভা মুলতবি প্রস্তাব কংগ্রেস ও তৃণমূলের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০১৮

ভারতের আসামে নাগরিক পঞ্জি ইস্যুতে সংসদ যৌথভাবে মুলতবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল শুক্রবার সংসদ শুরুর পরপরই বিরোধীরা এই মুলতবি প্রস্তাব আনে। আসামের পর ত্রিপুরা ও বিহারেও একইভাবে নাগরিক তালিকা সংশোধনের কাজ হতে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। জিনিউজের খবর। 

আসামের নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) তালিকায় আসামের ৪০ লাখ বাঙালির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির লোকসভা। লোকসভার অধিবেশনের শুরুতেই মুলতবি প্রস্তাব পেশ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এ সময় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপকে অমানবিক ও ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ধর্ণায় বসে।

এদিকে শিলচর বিমানবন্দরে সাংসদদের সঙ্গে পুলিশের অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শনি ও আগামীকাল রোববার কালো দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে তৃণমূল। আসামের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার সেখানে যান তৃণমূলের আট জনপ্রতিনিধি। যদিও তাদের বিমানবন্দরেই আটকে দেয় পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ছয় সাংসদ এবং দুই বিধায়ক। ওই দলের আটজনের মধ্যে পাঁচজনই নারী। সাংসদরা হলেন- মহুয়া মৈত্র, অর্পিতা ঘোষ, রত্না দে নাগ, মমতা বালা ঠাকুর, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দু শেখর রায়, নাদিমুল হক এবং বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা পর শিলচর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের। গতকাল শুক্রবার সকালে কলকাতায় পৌঁছায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

অপরদিকে আসামের পর ত্রিপুরা, বিহারেও একইভাবে নাগরিক তালিকা সংশোধনের কাজ হতে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে বিজেপি শাসিত হলেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নাগরিক তালিকা সংশোধন করতে নারাজ। যদিও সরকারের জোটসঙ্গীরা বলছে, আসামের মতোই রাজ্যটির ভৌগোলিক অবস্থা এবং সেখানেও প্রচুর অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারও নাগরিক তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে। তবে বিহারের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ধারা কার্যত দুটি ভাগেই এখন বিভক্ত।

রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস আসামের নাগরিক তালিকাকেই মানছে না। তারা পশ্চিমবঙ্গে সেটা করতেও দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ বিজেপি নেতৃত্ব বলছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে শাসনভার নিলে আসামের মতো নাগরিক তালিকা সংশোধন যেমন করা হবে তেমনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়ন করা হবে।

অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে এই সরগরম রাজ্য রাজনীতির মধ্যেই মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, ভারতজুড়ে বিজেপি সুপার ইমার্জেন্সি চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার আসামের তিনটি থানায় তিনটি মামলা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। তবে মামলা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ জানান মমতা। তার বিরুদ্ধে ১০০ মামলা করলেও তিনি আসামের নাগরিক তালিকা থেকে ৪০ লাখ বাঙালিকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads